সংক্ষিপ্ত
ফাটল তৈরি হয়েছিল সুভাষের আপসহীন সংগ্রামের মনোভাব ঘিরে, যা মহাত্মা গান্ধী পছন্দ করতেন না বলেই মত গবেষকদের।উভয়ই ছিলেন সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী, নিজ নিজ মতাদর্শে অটল।
মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। ব্রিটিশ সরকারের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর সংগ্রাম অনুপ্রাণিত করেছিল নেতাজীকে। তাঁর মতাদর্শ, তাঁর জীবনধারায় মুগ্ধ ছিলেন সুভাষ। যদিও ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের মতাদর্শ ভিন্ন ছিল। তবু কোথাও একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল দুজনের মধ্যে। উভয়ই ছিলেন সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী, নিজ নিজ মতাদর্শে অটল।
ফাটল তৈরি হয়েছিল সুভাষের আপসহীন সংগ্রামের মনোভাব ঘিরে, যা মহাত্মা গান্ধী পছন্দ করতেন না বলেই মত গবেষকদের। গান্ধী ছিলেন আপোষের রাস্তায় চলার নীতিতে বিশ্বাসী। অহিংস পদ্ধতি ছিল তাঁর ব্রিটিশ বিরোধিতার মূল সুর (125 Birth Anniversary of Netaji Subhash Chandra Bose)। যা নেতাজীর মনোভাবে বিপরীত ছিল। গান্ধীজী ব্রিটিশ বিরোধী হলেও ব্রিটিশ সরকারের ঘোর বিপদে তাকে অসুবিধায় ফেলতে চাইতেন না। নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাঁর ছিল ঘোর অনীহা।
অন্যদিকে গবেষকরা বলছেন নেতাজী ছিলেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মানুষ। ফলে তার বামপন্থী মনোভাব, নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দিকে ঝোঁক ও অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে সংশয় মহাত্মা গান্ধীকে ধীরে ধীরে সুভাষ-বিরোধী করে তোলে। ১৯২২ সাল থেকে নেতাজী গান্ধীজির নীতির সমালোচনা শুরু করেন। যা গান্ধীজির সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়িয়ে দেয়।
গান্ধীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই ত্রিপুরী কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি হওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়ান নেতাজী। গান্ধীর মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সিতারামাইয়াকে পরাজিত করেন। ফলে মহাত্মা গান্ধী সুভাষচন্দ্র বসুর ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হন। বলা হয়ে থাকে যে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগিতার ফলেই সুভাষচন্দ্র বসু ত্রিপুরীতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হন।
বাড়ির সদর দরজায় ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, ফিরিয়ে দেবে আপনার অর্থ ভাগ্য
Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি
সূর্যের গা থেকে ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা, ভয়ঙ্কর সুন্দর ভিডিও প্রকাশ করল নাসা
এরপরেই মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেস থেকে সুভাষকে সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হন। সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, সুভাষচন্দ্র বসু বুঝতে পারেননি যে, কংগ্রেসের অবিসংবাদী নেতা মহাত্মা গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেসে থাকা যায় না। কার্যত, মহাত্মা গান্ধীর জন্যই কংগ্রেস থেকে সরে যেতে বাধ্য হন সুভাষ।