সংক্ষিপ্ত

  • ১৯৯৩ সালে তৈরি হয়েছিল দামিনী সিনেমাটি।
  • ২৭ বছর পর সেই সিনেমার সংলাপই শোনা গেল নির্ভয়ার মায়ের মুখে।
  • নিশানা সেই ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা।
  • নির্ভয়ার দোষীদের নতুন ফাঁসির দিন জানার পর কি বললেন তিনি?

 

১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত বলিউড চলচ্চিত্র দামিনী। অন্য সেই সিনেমায় সানি দেওলের মুখের 'তারিখ পে তারিখ' সংলাপটি প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা গত ২৭ বছরে যে একটুও এগোয়নি, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। ফের এক ন্য়ায়বিচার প্রার্থী মায়ের মুখে শোনা গেল একই সংলাপ।

দামিনী ফিল্মে বাড়ির পরিচারিকা হয়েছিলেন গণধর্ষণ ও হত্য়ার শিকার। তাঁর হয়ে আদালতে মামলা লড়তে গিয়ে মামলার দীর্ঘসূত্রিতাকে আক্রমণ করেছিলেন আইনজীবীর ভূমিকায় থাকা সানি দেওল। তাঁর সংলাপ ছিল, 'তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ মিলতি গেই মি লর্ড, পর ইনসাফ নাহি মিলা' (একের পর এক তারিখ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ন্যায়বিচার পাওয়া যাচ্ছে না) ।

আরও পড়ুন - 'শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ', কান্নায় ভেঙে পড়ে গুরুতর অভিযোগ আনলেন নির্ভয়ার মা

আরও পড়ুন - 'এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে', নির্ভয়াকে প্রথম দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন ডাক্তারও

শুক্রবার নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের নতুন ফাঁসির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর নির্ভয়ার মা আশা দেবী বললেন, 'জো মুজরিম চাহেতে থে ওহি হো রাহা হ্যায় ... তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ। হামারা সিস্টেম অ্যায়সা হ্যায় কি জাহাঁ দোষী কি শুনি জাতি হ্যায়' (যা আসামিরা চেয়েছিল তাই হচ্ছে।...একের পর এক দিন ঘোষণা করা হচ্ছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থাই এমন, যেখানে দোষীদের কথাই শোনা হয়)।

সরাসরি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুললেন ৭ বছরের বেশি সময় ধরে মেয়ের ন্যায়বিচারের জন্য লড়ে যাওয়া নির্ভয়ার মা আশাদেবী। বৃহস্পতিবার ফাঁসি ২২ জানুয়ারী থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে জানার পরই তিনি সরকার ও আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এরপর শুক্রবার সকালে অভিযোগ করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের আপ সরকার তাঁর মেয়ের মামলা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার খেলায় মেতেছে।

আরও পড়ুন - 'আমায় জড়িয়ে ধরো', তিহার জেলে বাবার সামনে কান্না ভেঙে পড়ল নির্ভয়ার ধর্ষক

আরও পড়ুন - ফাঁসির ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা নির্ভয়ার ধর্ষকের, শেষ মুহূর্তে বাঁচাল পুলিশ
তিনি বলেন, 'এখনও অবধি আমি কখনও রাজনীতির বিষয়ে কোনও কথা বলিনি, আমি কেবল হাতজোড় করে ন্যায়বিচারের কথা বলেছি। তবে এখন আমি বলতে চাই ২০১২ সালে যারা তেরঙ্গা ও কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন, তারাই আজ রাজনৈতিক লাভের জন্য আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে খেলা করছেন। আপনাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য আমাদের এবং আমার মেয়েকে ব্যবহার করা বন্ধ করুন। ন্যায়বিচারের এই লড়াইয়ে আমি এই দুই দলের মধ্যেই আটকে আছি'।