সংক্ষিপ্ত
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সূচকে (NITI Aayog Health Index) সবার নিচে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। এবারও সবার সেরা কেরল (Kerala)।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের (UP Elections 2022) ঠিক আগে, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সূচকে (NITI Aayog Health Index) প্রকাশ হওয়ায় মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)। সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে সবার নিচে স্থান পেল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। যদিও, বেস ইয়ার, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের তুলনায় রেফারেন্স ইয়ার, অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে সর্বাধিক বর্ধিত কর্মক্ষমতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যোগীর রাজ্য। কিন্তু, তা যে মোটেই পর্যাপ্ত নয়, তা সার্বিক পরিষেবার ব়্যাঙ্কিং-এই প্রকাশিত।
এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিয়ে বার্ষিক স্বাস্থ্য সূচক প্রকাশ করল নীতি আয়োগ (NITI Ayog)। সূচকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে। আর সেই বিচারে সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে আবারো দেশের সেরা রাজ্য সর্বোত্তম রাজ্য হল কেরল (Kerala)। ২০১৮-১৯'এও দক্ষিণের এই বাম শাসিত রাজ্যই সেরা ছিল। রিপোর্ট অনুসারে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) এবং তেলেঙ্গানা (Telangana) রাজ্য রয়েছে পরের দুই স্থানে, অর্থাৎ, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়।
আরও পড়ুন - Poverty Index: দেশের দরিদ্রতম রাজ্য বিহার, দারিদ্র সবথেকে কম কেরলে - কোথায় রয়েছে বাংলা
আরও পড়ুন - NITI Aayog Poverty Index: সেরার কৃতিত্ব কার, তাই নিয়ে তরজা কংগ্রেস ও সিপিএম-এর
ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে কি সামগ্রিক কর্মক্ষমতা, কি ক্ষমতার পরিবর্ধন - দুই দিক থেকেই সেরা রাজ্য হয়েছে মিজোরাম (Mizoram)। আর দুই দুই বিচারেই সবথেকে খারাপ ফল করেছে নাগাল্যান্ড (Nagaland)। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সামগ্রিক পারফরম্যান্সের নিরিখে দিল্লি (Delhi) এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu And Kashmir), তালিকায় নীচের দিকে থাকলেও, ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার ক্ষেত্রে সেরা পারফরমার হয়েছে তারা। আর সামগ্রিক পারফরম্যান্সের নিরিখে সেরা দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ (Dadra and Nagar Haveli and Daman and Diu)।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সহযোগিতায় এবং বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগ। তারা আরও জানিয়েছে, গত কয়েক দশকে ভারতের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও, সেই গতি দেখা যায়নি জনস্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে। ২০১৫ সালেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের সর্বসম্মতিক্রমে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, মহিলা এবং শিশু কল্যানকে - দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ, এই ক্ষেত্রগুলিতে দ্রুত উন্নতি না হলে, জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রকল্পের বাস্তবায়ন রাজ্যগুলিই করে থাকে।