সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে যে, স্নাতক না হলে কোনও কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করা যাবে না।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা সর্বভারতীয় জয়েন্ট, নেট, সেট-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছেলে-মেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠায় অভিভাবকেরা। কিন্তু, অনেক পড়ুয়া কোচিংয়ের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে নিজের জীবনই শেষ করে দেয়।এছাড়া অনেক কোচিং সেন্টারে মোটা টাকা মাইনে নেওয়ার খবরও শোনা যায়।
এই পরিস্থিতিতে কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে যে, স্নাতক না হলে কোনও কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করা যাবে না। শিক্ষকদের মান উন্নত হতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার জন্য বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি বা র্যাঙ্ক করানো বা ভালো নম্বরের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।
১৬ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি করা চলবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি নেওয়া যাবে।প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোচিংয়ের মান, প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বা কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কিত কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।
ছাত্র-ছাত্রীদের মন ভাল রাখতে কোচিং সেন্টারগুলিকে কেরিয়ার গাইডেন্স দিতে হবে এবং কাউন্সেলিং করার ব্যবস্থা করতে হবে।প্রতিটি কোচিং সেন্টারে ফাস্ট-এড ও চিকিৎসা পরিষেবা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, স্বচ্ছ পানীয় জল এবং নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখতে হবে।স্কুলের সঙ্গে কোচিংয়ের সময় যাতে আলাদা হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।