সংক্ষিপ্ত
রবিবার চেন্নাইয়ের পুরাতন মহাবালিপুরম রোডে বছর ৩৪এর যাত্রী তথা পেশায় টেকনোলজিস্ট এইচ উমেন্দরকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সামনেই হত্যা করা হয়। রবিবার ছুটির দিন দুই ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন উমেন্দর।
গ্রাহকের সঙ্গে বচসা-হাতাহাতি। তারই জেরে ওয়া ক্যাব চালকের মারে এক গ্রাহকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইতে। ইতিমধ্যেই ক্যাব চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত চেন্নাইয়ের যাত্রীরা।
রবিবার চেন্নাইয়ের পুরাতন মহাবালিপুরম রোডে বছর ৩৪এর যাত্রী তথা পেশায় টেকনোলজিস্ট এইচ উমেন্দরকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সামনেই হত্যা করা হয়। রবিবার ছুটির দিন দুই ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন উমেন্দর। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোটা পরিবার শেয়ারের একটি ক্যাব বুক করেছিল। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ নাভালুবেরের মল সিনেমা দেখে বেরিয়ে অপেক্ষা করছিল বুক করা ক্যাবের জন্য। সেই সময় গাড়িটি এলে তারা ছুটে গাড়িতে উঠতে যায়। কিন্তু তখনও ক্যাবের চালক ৪১ বছরের এন রবি বাধা দেয়। যাতে কিছুটা অসন্তুষ্ট হয় উমেন্দরের পরিবার। উমেন্দরের স্ত্রী ভব্যা জানিয়েছেন, ক্যাব চালক তাদের সঙ্গে প্রথম থেকেই দুর্ব্যবহার করছিল। ওটিপি না গিয়ে গাড়িতে উঠলে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ওটিপি মিলিয়ে তারা আবার গাড়িতে ওঠে। এই অবস্থায় গোটা রাস্তাই উমেন্দরের সঙ্গে রবি খারাপ ব্যবহার করছিল বলে অভিযোগ করেন ভব্যা।
ভব্যা আরও জানিয়েছেন- সকলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর রবি তাদের গাড়ি থেকে নামায়। সেই সময়ই আবার উমেন্দরের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে দুজনে মারামারিও শুরু করে দেয়। উমেন্দরের স্ত্রী জানিয়েছেন ক্যাব চালক তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন কথা বলেছিল। তাদের বলেছিল একসঙ্গে না গিয়ে আলাদা ক্যাব বুক করাই শ্রেয়। সাইজনের সঙ্গে না গিয়ে আলাদা একটা এসইউভি বুক করতে বলেছিল।
যাইহোক, ভব্যার অভিযোগ, রবি তাঁর স্বামীকে পরপর তিন থেকে চারবার খুব জোরে ঘুঁষি মেরেছিল। দুটি ঘুঁষি বুকে লেগেছিল উমেন্দরের। তারপরই রাস্তাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ভব্যা ও তাঁর সন্তানরা উমেন্দরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কেলামবাক্কম পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। রবিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। উমেন্দর কোয়েম্বাটোরের একটি সংস্থায় সফটওয়্যার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য শনিবারই তিনি তাঁর বাড়ি গুডুভাঞ্চেরিয়ে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের মধ্যে।
'এখন আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না', ডিজিটাল ইন্ডিয়া সরকারে স্বচ্ছতা এনেছে বলে সওয়াল মোদীর
রাস্তায় পড়ে রয়েছে পাথর আর গাছ-ভূমিধসে বিপর্যস্ত সমুদ্র শহর গোয়া, হাঁটু জলে ভাসছে মুম্বই
২২ বছরের বন্দুকবাজ গ্রেফতার, মার্কিন স্বাধীনতা দিবসে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ৬ জনকে