সংক্ষিপ্ত
মোরে- মণিপুর মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাণিজ্যিক শহর। এটি ভারত-মায়ানমারের মধ্যে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেই কাজ করে। এদিন এই এলাকা থেকে ২৪৩টি ইম্প্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি উদ্ধার হয়েছে।
রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়েগেল মণিপুরের (Manipur) নিরাপত্তা। সোমবার সীমান্তবর্তী এই রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৫০কেটি বিস্ফোরক (explosives)। মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তবর্তী (Manipur-Mayanmar Border) বাণিজ্য শহর মোরে-থেকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।আগামী বছর এই রাজ্যে নির্বাচন। তাই আরও নজরদারী বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
মোরে- মণিপুর মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাণিজ্যিক শহর। এটি ভারত-মায়ানমারের মধ্যে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেই কাজ করে। এদিন এই এলাকা থেকে ২৪৩টি ইম্প্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি উদ্ধার হয়েছে। অসম রাইফেলসই এই বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।
৪৩তম অসম রাইফেলসের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে মোরে-তে থেকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন আকারের আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯৭টি আইইডির ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে। ৩৩টির ওজন তিন কেজি, আর ৪টির ওজন ৪ কেজি, ৯টি পাঁচ কেজে ওজনের আইইডি উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে অসম রাইফেলস। সঙ্গে দুটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারিও উদ্ধার হয়েছে। এটি কর্টেক্স তারের মাধ্যমে সংযোগ করা হয় বিস্ফোরকের সঙ্গে। বিস্ফোরণ ঘটাতে এটি সাহায্য করে।
ZyCoV-D: বিপুল পরিমাণে বিনা ব্যাথ্য়ার করোনা টিকা কিনছে ভারত, জেনে নিন জাইডাস ক্যালিডার টিকার দাম কত
অসম লাইফেস জানিয়েছে সীমান্ত এলাকায় একটি জঙ্গলের মধ্যে বিপুল পরিমাণের এই বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। পাতাল আড়ালে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জওয়ানরা যখন টলহ দিচ্ছিল তখনই তাদের পায়ে লাগে। তারপরই তারা সেগুলি উদ্ধার করে। একটি বাস্কের মধ্যে বিস্ফোরকগুলি লুকিয়ে রাখা ছিল বলেও জানিয়েছে অসম রাইফেলস। বর্তমানে সেগুলি মোরে থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ স্থানীয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।
Jammu Kashmir: কাশ্মীরি পণ্ডিতের দোকানের মুসলিম কর্মীকে হত্যা, জঙ্গিদের গুলিতে রক্তাক্ত উপত্যকা
ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমান। মণিপুর রাজ্য মায়ানমারের সঙ্গে ৩৯৮ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করে নেয়। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বিস্ফোরক উদ্ধারকে রীতিমত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। আগামী বছর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই সময় জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ও নাশকতার ছক বানচাল করতে নজরদারী বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
অন্যদিকে মণিপুর রাজ্যে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারের অস্থিরতা। মাঝে মাঝেই সেখানে সেনা ও রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষ বাধে। যার আঁচ পড়ে মণিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায়। প্রাণহাতে করে আশ্রয়ের জন্য প্রচুর অসহায় মানুষ ভিড় করতে থাকেন। তাই সীমান্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।