শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার তৈরি বিষাক্ত কফ সিরাপ খেয়ে প্রায় ২০টি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে সংস্থার মালিক রঙ্গনাথ গোবিন্দনকে গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।
কফ সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হল শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার মালিক রঙ্গনাথ গোবিন্দন। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে প্রায় ২০জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
মধ্যপ্রদেশের পুলিশের অভিযোগ, শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থা যে কফ সিরাপ তৈরি করত তাতে ৪৬.২ শতাংশ ডাইইথিলিন গ্লাইকোল থাকে। ওই রাসায়নিক টক্সিক বলে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানায়। ওই রাসায়নিক থেকে কিডনিতে গুরুতর সংক্রমণ হয়ে ২০টি শিশু মারা যায়।
বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। সিট যে যে বিষয় তদন্ত করছে তা হল, এত পরিমাণ বিষাক্ত কফ সিরাপ কারা তৈরি করে। কী করে উৎপাদিত হয় এবং খতিয়ে দেখা হচ্ছে উৎপাদন ও বাজারে পৌঁছানোর মধ্যে সাপ্লাই চেন কীভাবে কাজ করে।
সূত্রের খবর, শিশু মৃত্যুর তদন্তে নেমে বেশ কয়েকদিন তাঁদের চেন্নাইতে থাকতে হয়েছে। শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার মালিক রঙ্গনাথ গোবিন্দনের খোঁজ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও হদিশ মিলছিল না। অবশেষে বুধবার হদিশ মিলেছে।
জানা গিয়েছে, শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থা যে কফ সিরাপ তৈরি করে তা শিশুদের সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য বাজারে বিক্রি করা হত। কিন্তু এতে যে টক্সিক ডাইইথিলিন গ্রাইকোল থাকবে তা আগে থেকে চিকিৎসকদের জানা ছিল না। ডাইইথিলিন গ্লাইকোল রাসায়নিক শিল্পে ব্যবহার করা হয়। তা মানুষের শরীরে ক্ষতিকর। ডাইইথিলিন গ্লাইকোল রাসায়নিকের বিষক্রিয়ার ফলে শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
দীর্ঘদিন ধরে চলছিল ঘটনার তদন্ত। অবশেষে বুধবার শ্রীসান ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার মালিক রঙ্গনাথ গোবিন্দনকে আটক করল পুলিশ। এখনও চলছে তদন্ত।


