Pahalgam Attack: কার্যত, বিস্ফোরক তথ্য। পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাকিস্তান সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হল।
Pahalgam Attack: পহেলগাঁওতে হামলাকারী হাশিম মুসা দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সেনার স্পেশাল ফোর্স তথা কম্যান্ডো দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে সূত্রের খবর। তারপর সেখান থেকে সে যোগ দেয় লস্কর-ই-তৈবাতে। এমনকি, গত অক্টোবর মাস থেকে ভারতের মাটিতে মোট ৩টি হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই হাশিমের বিরুদ্ধে (Pahalgam Attack Latest News)।

পহেলগাঁওতে যে জঘন্য হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে প্রাণ গেছে বহু পর্যটকের। তবে সন্ত্রাসবাদকে জিততে দেবেন না, এই মানসিকতা নিয়েই কাশ্মীরে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। আর ঠিক একইসঙ্গে এই হামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। সেই তদন্ত থেকেই জানা গেছে, পাক সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল এই হাশিমের (India Pakistan News)।
সবথেকে বড় বিষয়, শারীরিক এবং মানসিক ফিটনেস বাড়ানোর পাশাপাশি আক্রমণের কৌশলকেও খুব ভালোভাবে রপ্ত করেছিল সে। এগুলো সব শেখানো হয় পাক বাহিনীর এসএসজি মেম্বারদের। উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে অস্ত্র ছাড়া লড়াইয়ের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
সেইসঙ্গে, কঠিন পরিস্থিতিতে ঠিক কীভাবে বেঁচে থাকতে হবে এবং কোন পদ্ধতিতে সঠিক দিক নির্দেশ করতে হবে, তার যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে পাক সেনার এই বিশেষ কম্যান্ডো বাহিনীটিতে (India Pakistan latest news)।
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে অন্তত ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাস থেকেই ভারতে নাশকতার ছক কষতে শুরু করেছিল আইএসআই। মনে করলে দেখা যাবে, ঠিক সেই সময় পরপর ২ মাসে দুটি জঙ্গি হামলা হয় কাশ্মীরে।
এমনকি, অক্টোবর মাসের সেই হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। এরপর নভেম্বর মাসে দুই সেনকর্মীর শহীদ হন সেই জঙ্গি হামলায়। জানা যাচ্ছে, এই দুটি হামলার নেপথ্যেই পহেলগাঁওতে হামলা চালানো হাশিমের প্রবল যোগসূত্র রয়েছে বলে মতামত গোয়েন্দারা।

আসলে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, কাশ্মীরি নয় এমন ব্যক্তিদের উপর হামলা চালানো। হাশিমের এই টার্গেটের চূড়ান্ত রুপ হল পহেলগাঁও হামলা।
তবে পাকিস্তানের নাটক চলছেই। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান যোগের দায় সরাসরি এড়িয়ে গেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। উল্টে নিজেদের নিরপরাধ বলে দাবি করছেন তারা। তবে গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের জঘন্য এই কর্মকাণ্ড তাদের আসল রুপকে বারবার স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের দায় স্বীকার করা লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’-এর হয়ে রাষ্ট্রসংঘে রীতিমতো ব্যাট ধরেছে ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রসংঘে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে বাঁচাতে পাকিস্তানের এই তৎপরতা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে যে, কেন টিআরএফকে বাঁচাতে চাইছে ইসলামাবাদ?
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


