সংক্ষিপ্ত

  • রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
  • দেহ সংরক্ষণে নয়া উদ্যোগ রেল পুলিশের
  • দেহ যাতে সসম্মানে মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায়, সেটাই লক্ষ্য
  • এর জন্য এক অভিনব উপায় বের করল পালঘর পুলিশ স্টেশন

সাধারণ রেল দুর্ঘটনায় কারওর মৃত্যু হলে তাঁর মৃতদেহ রেল পুলিশের কাছে থাকে যতদিন না পর্যন্ত তাঁর মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয় বা পরিবারের তরফে দাবি না করা হচ্ছে  ততদিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়, তবে খুব বেশি হলে ১০দিন পর্যন্ত রেখে দেওয়াই নিয়ম।

 ২০১৭ সালে পালঘর রেলওয়ে স্টেশনে এমনই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে খবর। তবে সেবার এক ব্য়ক্তির মৃত্যুর পর প্রায় ১০ দিন অপেক্ষা করেছিল রেল পুলিশ কিন্তু তাতেও তার পরিবারের তরফে কোনও সাড়া না পাওয়ায় অবশেষে সেই দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। তারও  প্রায় ২ সপ্তাহ পর তার পরিবারের তরফে যখন ওই মৃতদেহ দাবি করা হয়, তখন কবর খুঁড়ে যখন তার মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ততক্ষণে তা পচে-গলে গিয়েছে। 

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কর্মীরা, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে শিল্প মহল

আজ এনআরসি তালিকা প্রকাশ,অসমে জারি কড়া সতর্কতা, কী আছে রাজ্যবাসীর ভাগ্যে

স্ত্রীর নাম থাকবে কি এনআরসি তালিকায়, আতঙ্কে আত্মঘাতী স্বামী

তাই কোনও মৃত মানুষের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এক অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছে পালঘর রেলওয়ে পুলিশ। ট্রেন দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের দেহ যাতে অক্ষত অবস্থায় তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায়,সেই জন্যই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কফিনের ব্যবস্থা করল পালঘর রেল পুলিশ। 

এর জন্য ৮৫,০০০ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত এই এয়ারকন্ডিশনিং কফিনে মৃতদেহ চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এইভাবে একটি মৃতদেহ টানা ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ। 

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে, চলতি বছরে পালাগড় রেল স্টেশনে প্রায় ৭৬টি মৃতদেহ এসে জমা পড়েছে, যার মধ্যে শতকরা অর্ধেক দেহরই কোনও দাবিদার নেই। এদের সবাই ট্রেনে কাটা পড়েই মারা গিয়েছে। অধিকাংশের দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত যে, তাদের কোনওভাবেই পরিচয় খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আর এই সমস্যা এড়াতেই এবার রেল পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে এমনই অভিনব উদ্যোগ।