প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলায় ভয়াবহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় সংসদে বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিবাদ। মৃতের সংখ্যা এবং পরিচয় নিয়ে সরকারের উপর প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং 'কুম্ভের উপর জবাব দাও' স্লোগান দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ ২৮-২৯ জানুয়ারির মধ্যরাতে ভয়াবহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে এই ঘটনার প্রতিধ্বনি শোনা যায়। বিরোধী দলের সাংসদরা পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করেন।
লোকসভায় বিরোধী সাংসদরা জোরালো স্লোগান দেন। তারা "কুম্ভের উপর জবাব দাও" স্লোগান দিয়ে ওয়েলে নেমে আসেন। বিরোধীরা মৃতদের শনাক্ত করার তালিকা দাবি করেন। অভিযোগ করেন যে, উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতের সঠিক সংখ্যা গোপন করছে। এই কারণেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করতে অস্বীকার করা হয়েছিল। বিরোধীরা দাবি করেন যে, সরকার পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশ করুক। লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা সকল সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। তিনি বিরোধীদের জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনারা কি সংসদ চলতে দিতে চান না? সংসদীয় কর্মমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান।
বাজেট পেশ করার সময়ও বিরোধী সাংসদরা প্রতিবাদ করেছিলেন
শনিবারও সংসদে বিরোধী সাংসদরা স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যখন বাজেট ভাষণ পড়া শুরু করেন, তখন বিরোধী সাংসদরা হট্টগোল শুরু করেন। হট্টগোলের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণ চালিয়ে যান। শনিবার বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর অখিলেশ যাদব এবং তাঁর দলের সাংসদরা সংসদ থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তারা আবার তাদের আসনে ফিরে আসেন। বাজেট পেশ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, "এই মুহূর্তে বাজেটের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি। মহাকুম্ভে এখনও অনেকে তাদের আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ করছেন। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু সরকার মৃতের সংখ্যা জানাতে পারেনি। জানানো হয়নি কতজন নিখোঁজ। হিন্দুদের প্রাণ গেছে, সরকারের ঘুম ভাঙা উচিত।"
