সংক্ষিপ্ত
শেষ মুহূর্তে গেমপ্ল্যান চেঞ্জ হয়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে বিরোধীদের হয়ে আলোচনা শুরু করেন গৌরব গগৈ। অর্থাৎ তিনি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার লোকসভায় নির্ধারিত সময়ই শুরু হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক। অনাস্থা প্রস্তাবের আগের দিনই রাহুল গান্ধী সংসদে ফিরে আসেন। এদিন সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল বিরোধীদের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক শুরু করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রস্তুতি প্রায় সারা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তেমনই বয়ান জারি করা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমপ্ল্যান চেঞ্জ হয়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে বিরোধীদের হয়ে আলোচনা শুরু করেন গৌরব গগৈ। অর্থাৎ তিনি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা পরিবর্তন -তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এই রদবদল? প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। যদিও বিজেপি শিবির এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে। কারণ গগৈ বলতে ওঠার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি পক্ষ থেকে হৈহট্টোগোল শুরু হয়ে যায়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও গৌরব গগৈকে প্রশ্ন করেন কেন তিনি বলতে উঠলেন, রাহুল গান্ধী নন কেন? প্রহ্লাদ যোশী বলছেন, সকালে স্পিকারের অফিসে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠির তথ্য অনুযায়ী প্রথমে বলতে ওঠার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। কিন্তু আলোচনা শুরু করেন গৌরব গগৈ। তিনি আরও জানিয়েছেন, সংসদ ও তিনি রাহুল গান্ধীর আলোচনা শুনতে চান। শাসদ দলের সাংসদরাও বারবার প্রশ্ন করতে শুরু করেন, 'এমন কী হল যে শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে গেল কংগ্রেস। সিদ্ধান্ত বদল করল কেন।' তবে এই সব প্রশ্নবান উপেক্ষা করেই বলতে শুরু করে দেন গৌরব গগৈ। তিনি সরাসরি নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
Parliament News: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা অনাস্থা ভোট নয় বিরোধীদের আস্থা ভোট, বললেন বিজেপি সাংসদ
গৌরব গগৈয়ের বলার মধ্যেই বিরোধীরা চিৎকার করতে থাকে। রাহুল গান্ধীর পরিবর্তেন গৌরব গগৈ অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুপে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তিবি কিছুটা ঠাট্টার সুরে বলেন, রাহুল গান্ধী আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছেন। তাই বোধাহয় এদিনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন না। সেই কারণেই এগিয়ে দেওয়া হয়েছে অসমের সাংসদকে। তবে এসব উপেক্ষা করেই গৌরব গগৈ সরাসরি নিশানা করে যান প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদীকে।
Relationship Tips: এই ১০টি গুণ যে ছেলের রয়েছে তাকে পেতে পাগল হয়ে যায় মেয়েরা
গৌরব অনাস্থ প্রস্তাব এনে প্রথমেই বলেন, যে মণিপুর জ্বলছে মানে এটা মনে করা ভুল যে উত্তর পূর্বের কোনও একটি রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে। গোটা ভারতে আগুন লাগছে। তাই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শাসকদলের অনেকেই মণিপুর নিয়ে আলোচনায় উৎসাহী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের গুরুত্ব তাঁর ও দেশবাসীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, 'আমরা বাধ্য হয়েই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।' প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার জন্য এই কাজ করতে তারা বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৪০ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে কথা বলেছিলেন। তাও সংসদের বাইরে - মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য । তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাট বা ত্রিপুরার নির্বাচনের আগে দ্রুত গতিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেখানের মুখ্যমন্ত্রীদের । কিন্তু এখনও কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করা হয়নি।
Independence day story: ভগৎ সিংকে কলকাতায় আশ্রয় দিয়েছিলেন সুশীলা দিদি, জানুন এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে
বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও স্বীকার করে নেন গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে মেনে নিতে হবে তাঁর ডাবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে মুখ থুবড়ে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেন। বলেন, মণিপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, গোয়েন্দা বিভাগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ৫০০০এর বেশি অস্ত্র ও ৬ লক্ষ গোলাবারুদ রয়েছে সেই রাজ্যেপ মানুষের হাতে। জনতা পুলিশ স্টেশন থেকেও অস্ত্র লুঠ করছে।