সংক্ষিপ্ত
গঙ্গা থেকে জল তুলবেন তিনি। পরে পায়ে হেঁটে যাবেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। এরপর সেই জল ঢালবেন কাশী বিশ্বনাথের মাথায়।
বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জয়প্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বারাণসী (Varanasi)। কারণ সেখানেই রয়েছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কাশী বিশ্বনাথ। পর্যটকদের আরও বেশি করে টানতে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির ও আশপাশের গঙ্গার ঘাট। সরাসরি গঙ্গার ঘাট থেকে মন্দিরে আসার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করিডর (Kashi Vishwanath Corridor)। আজ সেই করিডর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। উদ্বোধন করার আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অলকানন্দা ক্রুজে (Alaknanda Cruise Varanasi) চড়েন মোদী। সেই ক্রুজে তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
আজ সকালে প্রথমে কাল ভৈরব মন্দিরে (Kal Bhairav Mandir) যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আরতি করেন তিনি। এরপর ক্রুজে করেই পৌঁছে যান ললিতা ঘাটে। সেখানে হাতে কলস নিয়ে সোজা নেমে পড়েন গঙ্গায়। গঙ্গা স্নান সেরে গঙ্গাপুজো ও সূর্য প্রণাম করেন তিনি। তারপর ফের ডুব দেন গঙ্গায়। এরপর ওই কলস থেকে গঙ্গা জল তুলে নিয়ে চলে যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে (Kashi Vishwanath Mandir)। ললিতা ঘাট থেকে পায়ে হেঁটে মন্দিরে যান তিনি। সেই গঙ্গা জল ঢালেন কাশী বিশ্বনাথের মাথায়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বর। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর ও ঘাটগুলি।
আরও পড়ুন- নবনির্মিত কাশী বিশ্বনাথ ধামের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী, জানুন এই ধামের ১০ বিশেষত্ব
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডর উদ্বোধন করার পর বিকেলের দিকে ফের ক্রুজে চড়বেন তিনি। আর সেখানেই তার সঙ্গে স্ক্রুজে যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, গোয়ার ডক্টর প্রমোদ সাওয়ান্ত, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর, হিমাচল প্রদেশের জয়রাম ঠাকুর, কর্নাটকের বিশ্বরাজ বোম্মাই, অসমের হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, গুজরাটের ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল, অরুণাচল প্রদেশের প্রেমা খান্ডু, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামী ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিশেন সিং।
আরও পড়ুন- কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুনরুজ্জীবন, সোমবার মোদীর হাতে উদ্বোধন
একইসঙ্গে থাকবেন গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী মনোহর আরগোনিকর, চন্দ্রকান্ত কাভেলকর, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তারকেশ্বর প্রসাদ, রেণু দেবী, উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, দীনেশচাঁদ শর্মা, নাগাল্যান্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী ইউথাঙ্গো পাত্তান, ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব শর্মা, অরুণাচল প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী চোনামিন। এরপর ওই ক্রুজের মধ্যেই ১১ জন মুখ্যমন্ত্রী ও ৯ জন উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী। আর বৈঠক শেষে সেখান থেকেই গঙ্গা আরতি দেখবেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "হাজার বছর আগে মা গঙ্গা প্রার্থনা করেছিলেন যে আমি যেন মণিকর্ণিকায় আটকে না থাকি, আমি যেন শিবের সঙ্গ পাই। তখন বাবা ভৈরব নাথ তাঁকে বলেছিলেন এই সান্নিধ্যের কারণে বাবা বিশ্বনাথের আধ্যাত্মিক সাধনায় কোনও বাধা যেন না আসে। বাবা কালভৈরব এই নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টায় আজ মা গঙ্গা সেই সান্নিধ্য পেলেন।