- Home
- India News
- কতটা শিক্ষিত দেশের প্রধানমন্ত্রী? তথ্য প্রকাশে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে মোদী
কতটা শিক্ষিত দেশের প্রধানমন্ত্রী? তথ্য প্রকাশে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে মোদী
PM Modi Education Qualification: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর? কত পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন দেশের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু জনসমক্ষে তা বলার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল আদালত। আরও বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

কতটা শিক্ষিত দেশের প্রধানমন্ত্রী?
দেশের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় কতটা এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে দেশের ১৬তম প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে কৌতূহলের শেষ নেই আমজনতার। যা নিয়ে মামলাও গড়িয়েছে আদালতে। এবার তাই নিয়ে বড় নির্দেশ দিলো আদালত।
মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রি কতদূর তা জানতে চেয়ে একটি মামলা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, মোদীর ডিগ্রির তথ্য প্রকাশে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (Central Information Commission - CIC) সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, তথ্য জানার অধিকার আইনের (RTI) অধীনে তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এটি কোনও জনস্বার্থের বিষয় নয়। এই রায়ের ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটলো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি নিয়ে বড় নির্দেশ
সূত্রের খবর, ১৯৭৮ সালের ডিগ্রির তথ্য প্রকাশে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল সিআইসি। যা স্থগিতাদেশ হয়ে যায় দিল্লি হাইকোর্টে। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (Central Information Commission - CIC) একটি নির্দেশ জারি করে, যেখানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর নথি পরিদর্শনের অনুমতি দিতে বলা হয়। জানা গিয়েছে, সেই বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।
সিআইসি-র এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সিআইসি-র এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম শুনানিতেই হাইকোর্ট সিআইসি-র নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এরপর থেকে এই আইনি লড়াই চলে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তি দিয়েছিল যে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা তাদের অধিকারের পরিপন্থী এবং এটি কোনো বৃহত্তর জনস্বার্থের বিষয় নয়।
তথ্য জানার অধিকারের চেয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ
দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি যুক্তি দেন যে, তথ্য জানার অধিকার (Right to Know) আইনের চেয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার (Right to Privacy) বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘’কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়। তাই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (CIC) যে নির্দেশ জারি করেছিল, তা বাতিল করা হোক।'' মেহতার এই যুক্তি হাইকোর্টের রায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (CIC) নির্দেশ বাতিল করে দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত আইনি স্বীকৃতি পেল। ফলে বাধ্যতামূলক নয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জনসমক্ষে প্রকাশ করা।

