সংক্ষিপ্ত


করোনার সংক্রমণ আর লকডাউন পর্বে আরও বেড়েছে জনপ্রিয়তা
প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয়তা গগনচুম্বী
সমীক্ষা রিপোর্ট মার্কিন সংস্থার
দেশের সমীক্ষা রিপোর্টেই সেই ছবি

করোনা মোকাবিলায় বেশ কয়েক জন রাষ্ট্রনেতার জনপ্রিয়তা কমলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ক্ষেত্রে আর একদমই উল্টো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে। মার্কিন সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে জানুয়ারি মাসে তাঁর জনপ্রিয়তা যেখানে ৭৬ শতাংশ ছিল সেখানে এপ্রিলে সেই গ্রাফ উঠেছে ৮৩ শতাংশ।  মার্কিন সংস্থার পাশাপাশি আইএনএস ও সিভোটার আরও একটি সক্ষীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে গহনচুম্বি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয়তা। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু দিকে অর্থাৎ গত ২৫ব মার্চ নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ছিল ৭৬.৮ল শতাংশ। ২১ এপ্রিল সেই জনপ্রিয়তার গ্রাফ গিয়ে পৌঁছেছে ৯৩.৫ শতাংশে।

তবে করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলা ও লকডাউন ঘোষণার এই পর্বে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারম সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বার্তাই দিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার সমীক্ষার কথাও তিনি জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য সামনে এনে নির্মলা সীতারমন দেখিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, বরিস জনসনের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলেও প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। গত লোকসভা নির্বাচনেই তাঁর জনপ্রিয়তার ধারে কাছে আসতে পারেনি দেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। 

মার্চ মাসের প্রথম দিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। তবে প্রথম দিকে আক্রান্তের সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না। কিন্তু সেই সময়ই সামনে আসে ইয়েস ব্যাঙ্ক সংকট, আর্থিক মন্দা। রাজধানী দিল্লির ভয়ঙ্কর হিংসার ঘটনা তার কিছুটা আগেই ঘটেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভ। যা কিছুটা হলেও মোদী জনপ্রিয়তা ভাটা এনেছিল। 

কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেন। করোনা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয়দের যুদ্ধ রীতিমত নজর কেড়েছে বিশ্বে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত বহু দেশে অ্যান্টি ম্যারেরিয়াল ড্রাগ পাঠিয়ে বিশ্ব নেতার ভূমিকাও তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই দেশবাসীও আর পুরনো কথা মনে না রেখে সামনে চেয়ে সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে লকডাউনে আর্থিক সমস্যার জন্য কিছুটা হলেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। 

আরও পড়ুনঃ হাইড্রোক্লোক্সিসকুইনিন নিয়ে কি এখনও গোঁসা ট্রাম্পের, মোদীকে আনফলো করল হোয়াইট হাউস ...

আরও পড়ুনঃ 'বাড়ি ফিরতে চাই' আবারও অভিবাসী শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মুম্বইয়ের পর এবার হায়দরাবাদে ...

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে দরিদ্রদের সাহায্য করতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন, যা খুব বেশি নয় , রাহুলকে বললেন রাজন ...

দুটি সংস্থার সমীক্ষার হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সময় দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন মোদী। যদিও সমালোচকের দাবি অল্প কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্তে এসেছে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলি। কারণ লকডাউনের কারণে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে হেঁটেছেন। সংকটে পড়েছে ছোট ব্যবসায়ীরা। সেই সময়  এই ফলাফল হতে পারে না বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। তবে প্রধানমনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক। তিনি জানেন কী ভাবে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হয়। করোনা সংকটকে নিজের অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করছেন তিনি। তেমনি জানিয়েছেন এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।