সংক্ষিপ্ত
- জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক
- প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাড়িতে বৈঠক
- উপস্থিত কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের রাজনৈতিক নেতৃত্ব
- কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১৯ সালে ৫ আগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংবিধানের যে বিশেষ সুবিধে পেত জম্মু ও কাশ্মীর তা রোধ করা হয়েছে। রাজ্যের তকমা হারিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছ। একই সঙ্গে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে পৃথক করা হয়েছিল লাদাখও। তার প্রায় দেড় বছরেও বেশি সময় পরে জন্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয়। পাকিস্তান সীমান্তের কেন্দ্র শাসিত রাজ্যটির প্রথম সারির আটটি রাজনৈতিক দলের ১৪ জন শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
যৌন-কাজের লোভনীয় প্রস্তাব, সামাজিক মাধ্যমে জাল বিছিয়ে তরুণদের ফাঁদে ফেলতে হাতছানি ...
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ ও তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ। বৈঠকে যাওয়ার আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন তিনি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের দাবিগুলি তুলে ধরবেন। তারপরেই তিনি সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দেবে। মেহবুবা মুফতি তাঁদে নেত্রী, বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্ত হওয়ার পরেই বিজেপি বিরোধী স্থানীয় নেতারা জোট বেঁধে গুফতার অ্যালায়েন্স তৈরি করেছিলেন। এই জোটের নেত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল মেহবুবা মুফতিকে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর প্রাক্তন চার মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন ফারুক আব্দুল্লাহ, গুলাম নবি আজাদ, ওমর আব্দুল্লাহ. মেহবুবা মুফতি। সূত্রের খবর চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে।
ক্রেতাদের পাতে 'কৃত্রিম' মুরগির মাংস, সিঙ্গাপুরের পর আরও একটি দেশ শুরু করল পরীক্ষা ...
তবে বিষয়টি নিয়ে আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল। স্থানীয়দের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিলে সবই নষ্ট হয়ে যায়। আর এই সিদ্ধান্ত দেশের কোনও উপকারে আসেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এজাতীয় স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত দেশকে কলঙ্কিত করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের মর্যাদা। সূত্রের খবর সেই বিষয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী এদিন আলোচনা করছেন স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। কীভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফিরেয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে তিনি তাঁর রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্য় গভর্নর মনোজ সিনহা। যদিও শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠক প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে বর্তমানে সন্ত্রাসবাদীদের উপদ্রব কিছুটা কমেছে। তাই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার এটাই সঠিক সময়। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন করাও জরুরি। তাই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই তৎপরতা বলেও মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলি।