Modi on Emergency Journey: দেশে জরুরি অবস্থার আজ ৫০ বছর পূর্তি। তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের আমলে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Modi on Emergency Journey: ভারতে জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি। গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের দিনগুলির অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লেখা বইয়ের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। । জানা গিয়েছে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশে জরুরি অবস্থার স্মরণে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ একটি বইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন। এই বইটি জরুরি অবস্থার দিনগুলিতে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে সেই দিনগুলি তাঁকে একজন নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে, তা তুলে ধরেছে।
'দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ' (The Emergency Diaries) শীর্ষক বইটি ব্লুক্র্যাফট ডিজিটাল ফাউন্ডেশন (BlueKraft Digital Foundation) দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে। এই বইটিতে সেই সময়ের তাঁর সহযোগী এবং অন্যান্য সংরক্ষণাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের প্রথম ব্যক্তি বিবরণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর লেখা 'দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ' বইটি নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে জরুরি অবস্থার দিনগুলিতে তাঁর ব্যক্তিগত যাত্রার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটি সেই সময়ের অনেক স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর 'এক্স' অ্যাকাউন্টে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে একগুচ্ছ পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি বলেছেন, "এটি জরুরি অবস্থার বছরগুলিতে আমার যাত্রার বর্ণনা দেয়। এটি সেই সময়ের অনেক স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।" তিনি সেই সকল মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা জরুরি অবস্থার "সেই অন্ধকার দিনগুলির" কথা মনে রেখেছেন অথবা যাঁদের পরিবার সেই সময়ে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এর মাধ্যমে "১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের সেই লজ্জাজনক সময়ের" বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
মোদী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার সময় তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, তখন তিনি একজন তরুণ আরএসএস প্রচারক ছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে ছিল এক গভীর শিক্ষণীয় অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যখন জরুরি অবস্থা আরোপ করা হয়েছিল, আমি একজন তরুণ আরএসএস প্রচারক ছিলাম। জরুরি বিরোধী আন্দোলন আমার জন্য একটি শেখার অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংরক্ষণের গুরুত্বকে আরও দৃঢ় করেছিল।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সেই সময়ে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে, ব্লুক্র্যাফট ডিজিটাল ফাউন্ডেশন (BlueKraft Digital Foundation) সেই অভিজ্ঞতাগুলো একত্রিত করে একটি বই আকারে সংকলন করেছে। এই বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন শ্রী এইচ. ডি. দেবে গৌড়া জি (Shri HD Deve Gowda Ji), যিনি নিজেও জরুরি বিরোধী আন্দোলনের একজন প্রবীণ নেতা ছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


