Air India Plane Crash Update: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বরাত জোরে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী কথা হল দুজনের? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Air India Plane Crash Update: ভাইয়ের সঙ্গে গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে চড়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার AI171-বিমানে। তখনও কেউ হয়ত দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি এই ওড়ায় শেষ ওড়া হবে! পলকের মুহুর্তের মধ্যে সব শেষ! কিন্তু কথায় বলে না রাখে হরি, মারে কে? এই বিমানযাত্রায় যেন ঠিক এমনটাই ঘটে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার AI171-বিমানের ১১এ সিটের যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাটের আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে AI171-এর বিমানটি। আর এই দুর্ঘটনার হাত থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে গিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার একমাত্র যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ।
ভয়ঙ্কর এই বিমান দুর্ঘটনায় বিমানের ভিতরে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার ইন্ডিয়া এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। কিন্তু একই বিমানে থাকা সহযাত্রী ভাইকে হারালেও সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এয়ার ইন্ডিয়ার একমাত্র জীবিত যাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আর শুক্রবার সকালে গুরুতর ভাবে জখম ওই যাত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, হাসপাতালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রমেশের শারীরিক পরিস্থিতির ব্যাপারে খোঁজখবর। সবরকম ভাবে তার এবং মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নমোর সঙ্গে দুর্ঘটনার মুহুর্তের স্মৃতি ভাগ করে নেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। তিনি বলেন, ''টেক অফের ঠিক ৩০ সেকেন্ড পরই বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তারপরই বিমানটা ভেঙে পড়ল। ভীষণ দ্রুত সবকিছু ঘটে গেল। আমি কীভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম জানি না। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই সব শেষ!''
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় বুকে গুরুত্বর চোট পেয়েছেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভয়ঙ্কর এই অভিজ্ঞতার কথা জানালেও এখনও তিনি ট্রমার মধ্যেই রয়েছেন। এমনকি ওই ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে নিজের ভাইয়ের দেহ খুঁজে বের করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় এক ছেলেকে হারালেও রমেশ প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে তার পরিবারের মানুষদের কাছে। এই বিষয়ে বিশ্বাসকুমার রমেশের আরেক ভাই নয়ন কুমার বলেন, ''এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে আমরা স্তম্ভিত। তবে বিশ্বাসকুমার রমেশ বেঁচে যাওয়া কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে সে এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে।''
প্রসঙ্গত, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যাতে ১২ জন ক্রু সদস্যসহ ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়ে। "উড্ডয়নের পর, বিমানটি এখানে ভেঙে পড়ে এবং প্রাথমিক তদন্তের পর, আমরা জানতে পেরেছি যে ... বিমানটি একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে, যা একটি ডাক্তারদের হোস্টেল," আমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জয়পাল সিং রাঠোর সাংবাদিকদের জানান। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানবন্দরের কাছাকাছি ডাক্তারদের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২৩০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


