সংক্ষিপ্ত
স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের জরিনা, তিলকধারী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী। জরিনা জানায়, বুধবার দুপুর ২টায় সে হিজাব পরে ক্লাসে যায়। তিনি সিটে বসতে যাচ্ছিলেন তখন প্রফেসর প্রশান্ত, যিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন, তাকে বাধা দেন।
কর্ণাটকের (Karnataka) হিজাব ইস্যুর (Hijab Issue) আগুন এবার পৌঁছল উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) জৌনপুর জেলায়। হিজাব পরে তিলকধারী কলেজে আসায় ছাত্রীকে (Student) রীতিমতো তিরস্কার করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক (political science professor)। পরে তাঁকে ক্লাস থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ। অভিযোগ ওই ছাত্রাকে অধ্যাপক বলেন, যারা পাগল, তারাই এসব করে। বোরখা খুলে ফেলে দিতে হবে। মেয়েটির ভাই বিষয়টি থানায় জানাবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের জরিনা, তিলকধারী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী। জরিনা জানায়, বুধবার দুপুর ২টায় সে হিজাব পরে ক্লাসে যায়। তিনি সিটে বসতে যাচ্ছিলেন তখন প্রফেসর প্রশান্ত, যিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন, তাকে বাধা দেন। ছাত্রীর অভিযোগ, প্রশান্ত তাকে বলেছিল, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সে এমন পোশাক পরে কেন আসে? সেই ছাত্রী জানান, তিনি মাথা ঢেকে রাখার জন্য হিজাব পরেন।
এরপরেই ক্লাস থেকে ওই ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরই সঙ্গে ওই অধ্যাপক বলতে থাকেন, এই সব কাজ পাগলরা করে। যদি তাঁকে ক্ষমতা দেওয়া হয়, তবে গোটা উত্তরপ্রদেশ থেকে হিজাব পরার প্রথাই তুলে দেবেন তিনি। বোরখা খুলে ফেলে দিতে হবে। এর পর মেয়েটিকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর কলেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না করেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে পৌঁছে যায় ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন - ভ্যাকসিন যেন নেশা - করোনা টিকার ১২তম ডোজ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন বিহারি বৃদ্ধ
বাড়িতে পৌঁছে পুরো বিষয়টি পরিবারকে জানান ওই ছাত্রী। এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। তাঁর পরিবারের লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে থানায় ও কলেজে অভিযোগ জানাবেন। একই সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ অলোক সিং বলছেন, বিষয়টি মিডিয়ার নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেব। তারা এখনো এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। একই সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন তোলেননি।
হিজাব বিতর্ক শুরু কর্ণাটক থেকে
কর্ণাটকের উপকূলীয় শহর উদুপিতে একটি সরকারী প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছয়জন মুসলিম মেয়েকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়। জানানো হয় ওই কলেজের নিয়ম অনুসারে পয়লা জানুয়ারি থেকে হিজাব পরে কলেজে আসা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। হিন্দু কলেজের ছাত্ররা জাফরান স্কার্ফ পরে এবং জাফরান পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাদের দাবি হিজাব পরে কলেজে যেতে পারলে, তাদের ধর্মীয় পোশাক এবং প্রতীক প্রদর্শনের অনুমতিও কলেজে দেওয়া হোক।