সংক্ষিপ্ত
লকডাউন ওঠার ১ সপ্তাহ আগেই নির্দেশিকা
প্রথম সপ্তাহ উৎপাদনে জোর নয়
পর্যবেক্ষণ ও ট্রায়াল রানেই জোর দিতে হবে
নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে বেশি জোর দেওয়া যাবে না। শ্রমিকদের সামনে বিশাল টার্গেটও রাখা চলবে না। যন্ত্রপাতি সব ঠিক রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা জরুরী। প্রথম সপ্তাহে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রায়াল রান চালাতে হবে দেশের সরকারি বেসরকারি সমস্ত কারখানাগুলিতে। একটি নির্দেশিকা জারি করে তেমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শনিরার রাতেই জারি করা হয়েছে এই নির্দেশিকা। লকডাউন উঠে যাওয়ার প্রথম সপ্তাহ ট্রায়াল ও টেস্ট রান হিসেবেই ধার্য করা হবে।
আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে লকডাউন। গত ২৫ মার্চ কোরানাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশজুড়েই লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তিন দফায় পঞ্চাশ দিনেও বেশি সময় লকডাউন চলছে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। আগামী সপ্তাহে উঠে যাচ্ছে লকডাউন। তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রথম সপ্তাহে কারখানার প্রতিটা ইউনিট যেন ধীরে ধীরে খোলা হয়। কয়েক সপ্তাহের লকডাউনে বন্ধ ছিল শিল্পাঞ্চল। কারখানার পাইপ লাইন, ভালভ, রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ জমে থাকতে পারে। তাই হঠাৎ করে চালু করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিপদ বাড়তে পারে। তাই বিপজ্জনক রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ জমা করা হয় এমন স্টোরেজ ভালো করে পর্যবেক্ষণের পরই তা চালু করতে হবে। এই নির্দেশিকা কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কারখানা জন্য প্রযোজ্য বলেও জানান হয়েছে।
নির্দেশিকা আরও বলা হয়েছে ইউনিট পুনরায় চালু করার সময় আগে শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পরই তা চালু করা যাবে। কারখানা চত্ত্বর ২৪ ঘণ্টা স্যানিটাইজ করতে হবে। প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর স্যানিটাইজ করা জরুরী বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। দুপুরে শ্রমিকদের খাবার ঘর ও টেবিল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জীবানুনাশক দিয়ে টেবিল পরিষ্কার করাও জরুরী বলে জানান হয়েছে। সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনা প্রতিহত করার বিষয়ে। কারণ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অদ্ভুদ গন্ধ, শব্দ ধোঁয়া বার হলে প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়াতেই নাজেহাল উদ্ধব, বদলি করলেন সরকারি আধিকারিকদের ...
বৃহস্পতিবারই বিশাখাপত্তনমে এসজি পরিমার্স ইন্ডিয়ায় গ্যাস লিক করায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাজার খানের মানুষ। কারখানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন এই দুর্ঘটনা। তাই লকডাউনের পর যখন অধিকাংশ করখানার খুলতে চলছে তাই চরম সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ৪০ দিনেরও বেশি সময় কারখানা বন্ধ থাকায় যে কোনও জায়গায় গ্যাস ও রাসায়নিক জমে থাকার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।