সংক্ষিপ্ত
প্রায় তিনজন মিলে গর্ভবতী ছাগলের উপর অত্যাচার চালায়। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছাগলটি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কানহনগাদের কোট্টাচেরিতে।
ঘৃণ্য বা জঘন্য অপরাধ বললেও হয়তো কম বলা হবে। বরং তার থেকেও অনেক বেশি কিছু। দিন দিন বাঘ-সিংঘের থেকেও বেশি হিংস্র হয়ে উঠেছেন মানুষ। কারণ মানুষের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্বয়ং মানুষও। আর এবার রেহাই পেল না এক ছাগলও। নৃশংস অত্যাচার করা হল তার উপর। প্রায় তিনজন মিলে গর্ভবতী ছাগলের উপর অত্যাচার চালায়। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছাগলটি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কানহনগাদের কোট্টাচেরিতে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর দু'জনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম সেন্থিল। কোট্টাচেরির একটি হোটেলের কর্মী ছিলেন তিনি। সেখানেই একটি ছাগল ছিল। অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই ছাগলটিকে দেখছিলেন সেন্থিল। এরপর মঙ্গলবার রাতের দিকে সেন্থিল-সহ দুই ব্যক্তি ওই ছাগলের উপর অত্যাচার চালায়। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎই হোটেলের পিছন থেকে ছাগলের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান হোটেলের অন্য কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান তাঁরা। দেখতে পান চার মাসের গর্ভবতী একটি ছাগল মাটিতে পড়ে রয়েছে। মাটিতে পড়ে গোঁদাচ্ছিল সে। তাকে গণধর্ষণ করে সেন্থিল-সহ তিন জন। আর যেই হোটেলের কর্মীরা ছাগলের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সেই সময় পাঁচিল টপকে তিন অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। পাশবিক অত্যাচারের জেরে সেই গর্ভবতী ছাগল শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
আরও পড়ুন- মাথায় বস্তা নিয়ে ব্যালেন্সের খেল, যে কোনও জিমন্যাস্টকে হার মানাবেন এই যুবক
এদিকে এই ঘটনার অপরাধে পরদিনই সেন্থিলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন হোটেলের দুই কর্মী। বুধবারই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বাকি দু'জনের খোঁজ এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই দু'জনকে খুঁজে বের করার জন্য রীতিমতো তৎপর পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ও ৪২৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তা ছাড়া অবলা পশুর উপর নারকীয় নির্যাতনের জন্যও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা যদি এই ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হয় তাহলে তাদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এক পশু চিকিৎসক ওই ছাগলের ময়নাতদন্ত করেছেন। ছাগলের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'কঠোর পরিশ্রম করে যাও', জ্বালানির দামের সঙ্গে লড়ার মন্ত্র বাতলে দিলেন রামদেব
তবে এই ধরনের পাশবিক ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগেও ঘটেছিল। হরিয়ানায় এক গর্ভবতী ছাগলের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল ৮ জন। পাশবিক অত্যাচারের জেরে সেই গর্ভবতী ছাগল শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এমন জঘন্য কাজ করার জন্য আটজন অপরাধীকে শেষমেশ গ্রামবাসীরা ধরে ফলে। তারপর তাদের গণধোলাই দেওয়া হয়েছিল। মারের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছিল তারা।