কোয়েম্বাটুর-তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় এক গর্ভবতী মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেল দিল গর্ভবতী মহিলাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। সেখানে চলন্ত ট্রেন থেকে গর্ভবতী মহিলাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী রেবতী কোয়েম্বাটুর-তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের ত্রিপ্পুর থেকে চিত্তুরে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন ঘটে এই ঘটনা।
অভিযুক্ত যুবক হেমরাজ ভোর ৬টা ৪০ নাগাদ একটি অসংরক্ষিত টিকিট নিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিলা কোচে ওঠে। সে সময় কোচে আরও সাত জন মহিলা ছিল। সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ জোলারপেট্টাই স্টেশনে পৌঁছালে সব মহিলা নেমে যায়। তারপর অভিযুক্ত যুবক গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মহিলা বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। রাগে ওই মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেয় অভিযুক্ত যুবক। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই মহিলা।
মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। কোয়েম্বাটুর-তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের ত্রিপ্পুর থেকে চিত্তুরে যাচ্ছিলেন তিনি। এই ট্রেনেই ঘটে এই ঘটনা। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মহিলার হাত, পা, মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁকে বর্তমানে ভেলোর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতি ও খুনের ঘটনার অভিযোগ ছিল। সে আগেও গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
দিনের বেলায় এমন ঘটনা ঘটে কোয়েম্বাটুর-তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় মহিলাকে। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবত হেমরাজ (২৭)। ৩৬ বছর বয়সী ওই মহিলা আপাতত চিকিৎসাধীন। গুরুত আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গর্ভবতী এই মহিলা। চলন্ত ট্রেনে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় চমক পেয়েছেন সকলে। দিনের বেলায় ঘটেছে এই কাণ্ড। যা নজর কেড়েছে সকলের। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বাধা দেওয়ায় ট্রেন থেকে ধাক্কা মারার ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সর্বত্র। প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
