সংক্ষিপ্ত
জিততে মরিয়ে মোরগের মালিকরা শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভায়াগ্রা, শিলাজিতের মত বুস্টার ডোজ ব্যবহার করছে। স্টেরয়েডযুক্ত খাবারও দেওয়া হচ্ছে মোরগদের।
মকর সংক্রান্তির যতই ঘনিয়ে আসছে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ কতগুলি রাজ্যে মোরগদের আদর যত্ন ততই বেড়ে যাচ্ছে। কারণ প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী এখনও দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মকর সংক্রান্তির দিনে মোরগ লড়াইয়ের প্রচলন রয়েছে। তবে আধুনিককালে এই আদিম লড়াইতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। জিততে মরিয়া মোরগের মালিকরা শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভায়াগ্রা, শিলাজিতের মত বুস্টার ডোজ ব্যবহার করছে। স্টেরয়েডযুক্ত খাবারও দেওয়া হচ্ছে মোরগদের।
টাইমস অব ইন্ডিরা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যারা এই কাজ করছে তাদের জন্য মকর সংক্রান্ত মানেই মোরগ লড়াই। বলা যেতে পারে মকর সংক্রান্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ মোরগ লড়াই। অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুর কৃষ্ণা, গোদাবরীর মত জেলাগুলিতে এখনও এই মোরগ লড়াইয়ের আবৈধ আখড়া হিসেবেই পরিচিত।
হরমোন-বুস্টিং ওষুধগুলি ব্যবহারের কারণঃ
টাইমস অব ইন্ডিরা মতে একটি ভাইরাল রোগ রানিক্ষেত মোরগগুলিকে দুর্বল করে দিয়েছে। সেই কারণে মোরগগুলি লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নয়। সংক্রান্তির দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মালিকরা পাখিদের হরমোন-বর্ধক ওষুধ খাওয়াচ্ছে। তাদের শিলাজিৎ ও ভায়াগ্র দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে অবশ্যই দেওয়া হচ্ছে ভিটামিনও।
তবে এই ব্যবস্থা পশু চিকিৎসকদের বিশেষ উদ্বিগ্ন করেছে। তারা মনে করছে অল্প দিনের মধ্যে এজাতীয় ওষুধ পাখিগুলিকে প্রচুর পরিমাণে দেওয়া হবে। তার ফল হবে দীর্ঘমেয়াদী। পাখিগুলি পঙ্গু হতে পারে। ভাইরাল রোগের মিউটেশন হতে পারে। সেগুলি মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
যদিও এক মোরগের মালিক নিজের নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, পাখিগুলিকে বাঁচানোর জন্য, রোগের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যই এজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করছেন। রোগে আক্রান্ত হয়ে পাখিদের শক্তি অনেকটাই কমে গেছে। সংক্রান্তির জন্য পাখিগুলিকে তৈরিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, মোরগ যাতে ভাল লড়াই করে তারজন্য আগে ওষুধ খাওয়ানো হত। এই নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা এখনও পর্যন্ত ভাল ফল পেয়েছে বলেও জানিয়েছে।