সংক্ষিপ্ত
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল সাংসদের কাছে খোঁজ
- বুলবুল পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার পরে ফোনে দু' জনের কথা হয়েছিল। দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে ফের একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সৌজন্যের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাইলেন, 'দিদি কেমন আছেন?'
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে এ দিন দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলের তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই সুদীপবাবুর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন করেন, 'দিদি কেমন আছেন?' শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার পরে তাঁর সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে, তাও জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
সুদীপবাবু আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জেরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। সুদীপবাবু তাঁকে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্য প্রশাসন সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ মেলে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অনুরোধ করেন তৃণমূল সাংসদ। ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃণমূল সাংসদকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রীও।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জেরে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ ২৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকা বলে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। বুলবুলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করতে কেন্দ্রের যে প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছিল, তার সদস্যরা এ দিন নবান্নে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ক্ষয়ক্ষতির এই হিসেব পেশ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বুলবুলের জেরে বাংলায় মোট ১৪ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ লক্ষ বাড়ি।