সংক্ষিপ্ত
পুজো দিতে এসে জগন্নাথদেবের বিগ্রহের কাছে গিয়ে পৌঁছনো তো দূরস্থান, একেবারে মন্দিরের সিংহদুয়ার থেকেই বিপদের মুখে পড়ে যান অধিকাংশ মানুষ।
১৬ জানুয়ারির পর ১৫ মার্চ, ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ফের লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড়ে পদদলিত হওয়ার পরিস্থিতি। ব্যাপক ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠল বুধবার সকাল থেকেই। জনজোয়ারের ধাক্কাধাক্কিতে নিঃশ্বাসে কষ্টও অনুভব করতে শুরু করেন বহু দর্শনার্থী। আচমকাই এমন অঘটন ঘটে যাওয়ায় কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এলাকার নিরাপত্তারক্ষীরা।
ফাল্গুন মাসের উৎসবের আমেজে ভারতের বহু রাজ্য থেকে পবিত্র ধর্মস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এসে জমায়েত হন। বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমাগমের জেরে ১৫ মার্চ সকালে অপ্রত্যাশিতভাবেই মন্দির চত্বরের পরিস্থিতি চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে যথাযথ পরিমাণে পুলিশকর্মীরা বহাল থাকলেও তাঁদের পক্ষে অত মানুষকে সামাল দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। কিছু ক্ষণের জন্য অবস্থা একেবারে হাতের বাইরে চলে যায়। ভিড়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। প্রবল ধাক্কাধাক্কির জেরে কয়েকজন মানুষের পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা বাড়তে থাকে।
পুজো দিতে এসে জগন্নাথদেবের বিগ্রহের কাছে গিয়ে পৌঁছনো তো দূরস্থান, একেবারে মন্দিরের সিংহদুয়ার থেকেই বিপদের মুখে পড়ে যান অধিকাংশ মানুষ। অনেকেই জখম হন, কেউ কেউ জনপ্লাবনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ওই সময়ে পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকলেও তাঁরা অনেকে নিজেদের মধ্যে গল্পে মত্ত ছিলেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ তুলে কেউ কেউ বলেছেন, ‘সংক্রান্তিতে ভিড় হবে জেনেও ভক্ত সমাগম নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ভিড়ের কথা ভেবে মন্দিরের পূর্ব এবং পশ্চিমের ফটক দু’টি খুলে দেওয়া হয়েছিল। তার পরও বিপুল পরিমাণ ভক্তসমাগম হওয়ায় পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। ভিড়ের চাপে কয়েক জন পড়ে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে একজন মহিলা ভক্ত জখম হন। তা নিয়েই অযথা হইচই করা হচ্ছে। পুলিশ ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করেছে এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়নি।
আরও পড়ুন-
ভগবান কৃষ্ণ থেকে বাবা বিশ্বনাথ, মুসলমান শিল্পী মহম্মদ গিয়াসুদ্দিনের হাতের পাগড়ি বারাণসীর হিন্দু অনুষ্ঠানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
৪৭ বছর বয়সে গর্ভবতী ‘মা’! আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন ২৩ বছরের আর্যা, এক অপার আবেগে ভাসলেন মা ও মেয়ে