তথ্য কমিশনার বৈঠকে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ভিন্নমত পোষণ করে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সংক্ষিপ্ত তালিকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, ইবিসি সম্প্রদায়ের কোনও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি বুধবার নতুন প্রধান তথ্য কমিশনার, আটজন তথ্য কমইশনার ও একজন ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের জন্য বৈঠক করেছেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই পছন্দগুলির প্রতি তীব্র অসম্মতি জানিয়েছেন। লিখিতভাবে তা জমা দিয়েছেন বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী তথ্য কমিশনার বৈঠকে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ভিন্নমত পোষণ করে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সংক্ষিপ্ত তালিকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, ইবিসি সম্প্রদায়ের কোনও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি দাবি করেছেন, সাংবিধানিক ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি, উপজাতি. ওসিবি,ইবিসি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাদ দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত ধারা বর্তমানে বিদ্যমান।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী প্রকৃত তথ্য অলাদাঃ
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৫-১০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের আমলে কমিশনের সদস্য বা চেয়ারপার্সেন হিসেবে তফসিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তিকেও নিয়োগ করা হয়নি। এনডিএ সরকারই ২০১৮ সালে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য সুরেশ চন্দ্রকে কমিশনে নিয়োগ করে।
২০২০ সালে হীরালাল সামারিয়াকে তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রধান তথ্য কমিশনার হন তিনি। তিনি তফসিলি জাতি সম্প্রদায় থেকে প্রথম তথ্য কমিশনার।
গতকাল তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত ৮টি শূন্যপদে নিয়োগের বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার একজন তফসিলি জাতি, একজন তফসিলি উপজাতি, একজন ওবিসি, একজন সংখ্যালঘু প্রতিনিধি এবং একজন নারীকে সুপারিশ করেছে। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী সুপারিশকৃত আটটি নামের মধ্যে পাঁচটি নামই সুবিধেবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের। তাই রাহুল গান্ধী বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে যেসব দাবি করছেন তা ধোপে টিকবে না। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী রাহুল গান্ধী আদতে মিথ্যা কথা বলছেন বা ভুল দাবি করছেন।

