পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ হলেও লিভ-ইন করা যাবে ১৮ থেকে, বড় পর্যবেক্ষণ রাজস্থান হাইকোর্টের
রাজস্থান হাইকোর্ট রায় দিয়েছে পুরুষদের বিয়ে বয়স ২১ বছর হলেও প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষরা একত্র বা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পারবেন। রাজস্থান হাইকোর্ট আরও বলেছে, সাংবিধানিক অধিকারকে বয়সের ছুতো দেখিয়ে খর্ব করা যাবে না।

রাজস্থান হাইকোর্টের রায়
রাজস্থান হাইকোর্ট রায় দিয়েছে পুরুষদের বিয়ে বয়স ২১ বছর হলেও প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষরা একত্র বা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পারবেন। রাজস্থান হাইকোর্ট আরও বলেছে, সাংবিধানিক অধিকারকে বয়সের ছুতো দেখিয়ে খর্ব করা যাবে না। দেশে পুরুষদের বিয়ের বয়স কমপক্ষে ২১। কিন্তু বিয়ের বয়সে পৌঁছানোর আগেই দুজনের সম্মত্তিক্রমে একত্র বাস বা লিভইন করতে পারবেন পুরুষরা। এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজস্থান হাইকোর্টের।
বিচারপতি অনুপ ধান্ডের রায়
বিচারপতি অনুপ ধান্ড কোটার ১৮ বছর বয়সী এক মহিলা এবং ১৯ বছর বয়সী এক পুরুষের দায়ের করা সুরক্ষার আবেদনের শুনানিকালে এই রায় দেন। তারা আদালতকে বলেছিলেন যে তারা স্বাধীন ইচ্ছায় একসাথে বসবাস করছেন। দম্পতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চলতি বছরই ২৭ অক্টোবর একটি লিভ-ইন চুক্তি সম্পাদন করেছেন।
কোর্টে যাওয়ার কারণ
আবেদনকারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে মহিলার পরিবার এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিল। তাদের হত্যার হুমকি গিয়েছিল। কোটা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোটার পুলিশ দম্পতিকে সাহায্য করেনি। সেই কারণেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সরকারি আইনজীবীর বিরোধিতা
দম্পতির লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিল সরকারি আইনজীবীয।। সরকারি আইনজীবী বিবেক চৌধুরীর যুক্ত ছিল যে, ওই ব্যক্তি ২১ বছর পূর্ণ করেনি। পুরুষদের জন্য বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১। তাই সংশ্লিষ্ট পুরুষ সঙ্গীকে লিভ-ইন করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়।
রাজস্থান হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে দেয়। বলে, সংবিধানির ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার কেবল আবেদনকারীদের বিবাহযোগ্য বয়স না হওয়ার কারণে অস্বীকার করা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।'
বিচারপতি আরও বলেন, ভারতীয় আইনের অধীনে লিভ-ইন সম্পর্ক নিষিদ্ধ বা অপরাধ নয়। একই সঙ্গে আদালত দম্পতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ভিলওয়ারা ও যোধপুর পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।

