সংক্ষিপ্ত
রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এই মুহূর্তে মন্দির নির্মাণের কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং সেখানে কি চলছে- সেই ছবিটা দেখার জন্য বারবার আকুল হয়েছে মানুষ। মন্দির নির্মাণ কমিটির মতে, রাম মন্দির স্থাপত্যের কারিকুরিতে এমন একটা উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে যা আগামিদিনে বিশ্বের কাছে বিস্ময় বলে বোধ হবে।
রাম জন্মভূমি বিতর্ক এখন এক ইতিহাস। আর এই ইতিহাসের হাত ধরে এখন যে বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে তা হল রাম মন্দির। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতেই রাম মন্দির তৈরির বিষয়টি পাকা হয়ে গিয়েছিল। এরপর সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রাস্ট রাম মন্দির তৈরির বিষয়টি তত্বাবধান করবে এবং মন্দির-এর কাজকর্ম পরিচালনা করবে। ২০২১ সালে মন্দির নির্মাণের ভূমি পূজো করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কীভাবে এগোচ্ছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ? স্থাপত্যশৈলীতে কী কী ধরনের চমক থাকছে? এর খোঁজ নিতে এশিয়ানেট নিউজ হাজির হয়েছিটল মন্দির নির্মাণস্থলে। রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এশিয়ানেট নিউজের রাজেশ কালরাকে জানিয়েছেন মন্দির নির্মাণের কাজের গতি কেমন এবং কি কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে?
এই মন্দির নির্মাণের আগে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরেরর শিল্যানাস হয়েছিল। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে কোনওভাবেই বিতর্কিত জমি বা তার লাগোয়া জমিতে শিল্যানাস করা যাবে না। কিন্তু বিশ্বহিন্দু পরিষদের তৎকালীন নেতা অশোক সিঙ্ঘল এবং তাঁর অনুগামীরা কেউ কথা শোনেননি। বিতর্কিত জমির এক্কেবারে ধার ঘেঁষে শিল্যানাস হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর কিছু কাজ হয়নি।
আদালতের রায়ের পরে ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাম মন্দির নির্মাণের পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম অবস্থায় এই জমিকে মন্দির তৈরির উপযোগী করতে একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। যেমন মন্দিরের নির্মাণের মধ্যে থাকা জমিকে ১৫ ফুট গভীর গর্ত করে কাটা হয়েছিল। এই ১৫ ফুট গর্ত থেকে যা মাটি বেরিয়েছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপরই সেই গর্তকে ইঞ্জিনিয়ার্ড সয়েল দিয়ে ভর্তি করা হয়। এশিয়ানেট নিউজের রাজেশ কালরার সঙ্গে কথোপকথনে এই বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র, যিনি একজন আইএএস-তো বটেই, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের মুখ্য সচিবের দায়িত্বভারও সামলিয়েছেন।
"
আলাপচারিতায় নৃপেন্দ্র জানিয়েছেন কীভাবে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে তাদের। এরমধ্যে শিয়রে সমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা অতিমারি এবং লকডাউন। সেখান থেকেও তারা প্রাণপনে কাজ করে গিয়েছেন। মন্দিরের ভিত এই মুহূর্তে পুরোপুরি তৈরি। এবার এক এক করে নকশা মেনে কাজ হবে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে ২০২৩-এর মধ্যে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এমনই সব চমকপ্রদ তথ্য এবং মন্দির নির্মাণের নানা স্থাপত্য কৌশলের গল্প। পুরো সাক্ষাৎকার দেখতে হলে এবং রাম মন্দির তৈরির আকর্ষণীয় সব ঘটনা জানতে ও মন্দির নির্মাণের এক্সক্লুসিভ সব ছবি দেখতে হলে অবশ্যই আপনারা ক্লিক করুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। কারণ, রবিবার দিনভর আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো রাম মন্দির নির্মাণের গল্প রাম-তীর্থ।
আরও পড়ুন- শুধু রাম মন্দির নয়, পর্যটকদের কাছে অযোধ্যার আকর্ষণ বাড়াতে যোগী সরকার তৈরি করেছে মাস্টার প্ল্যান
আরও পড়ুন- বালির কারণে নতুন কৌশলে তৈরি হবে রাম মন্দির, খরচ হবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা
আরও পড়ুন- রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে গা ভাসিয়েছিল বিশ্ব, ইংল্যান্ড -আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানও ছিল মোদী-ময়