সংক্ষিপ্ত
শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে নিজের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যা করল সরকারি স্কুলের ছাত্র, তা দেখে বিস্মিত পরিবারের সদস্যরাও।
অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েই স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকা এবং সহপাঠীদের সঙ্গে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু, সেই ভ্রমণে গিয়ে যে এমন কাণ্ড হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ছাত্রের বাড়ির লোকেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্রমণের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়ে যেতেই জ্বলে উঠল ক্ষোভের আগুন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর জেলায়।
-
চিক্কাবাল্লাপুর জেলার মুরুগামালার চিন্তামণি তালুকের একটি সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত রয়েছেন ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলা। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে একজন দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে অত্যন্ত আপত্তিকর অবস্থায় কিছু ছবি তুলেছেন তিনি। সেই ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে হাতে গোলাপ নিয়ে ছাত্রের কোলে উঠতে এবং গালে চুমু খেতে, অন্যদিকে, ওই ছাত্রকেও পালটা নিজের শিক্ষিকার গালে চুমু খেতে দেখা গিয়েছে। এই ছবিগুলি তোলার সময় ওই স্থানে আরও অন্যান্য মানুষজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ওই ছাত্রের সহপাঠীদের দিয়েই এই ছবিগুলি তোলানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।
-
বুধবার এই ছবিগুলি ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের বাড়ির লোকজন। সম্পূর্ণ ঘটনার বিষয়ে ব্লক শিক্ষা অফিসার (বিইও) ভি উমাদেবীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রের বাবা-মা। বিইও বিষয়টি জানার জন্য মুরুগামল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। উমাদেবী জানিয়েছেন, স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও কর্মীরা ২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোরানাডু, ধর্মস্থল, ইয়ানা এবং অন্যান্য জায়গায় শিক্ষামূলক সফরে গিয়েছিল এবং সেই সময়েই এই ঘটনাটি ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো অন্য আরেক ছাত্রের তোলা। দুই ছাত্র এবং প্রধান শিক্ষিকা ব্যতীত, অন্য কোনও কর্মী বা ছাত্র এই ঘটনার বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
-
চিক্কাবল্লাপুরের জন নির্দেশক ডেপুটি ডিরেক্টর বলেছেন যে, চিন্তামণি বিইও উমাদেবী ঘটনাগুলি নিশ্চিত করার জন্য স্কুল পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, ওই প্রধান শিক্ষিকা ভ্রমণের সময় তোলা বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে দিয়েছেন। সেই ছবি এবং ভিডিওগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করে ডেপুটি ডিরেক্টর বলেছেন যে, বিইও ঘটনার বিষয়ে তথ্য জমা দিয়েছেন, সেগুলির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।