Sabarimala Gold Loot: কেরলের (Kerala) বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরে জমা পড়া বিপুল পরিমাণে সোনা লুটের অভিযোগে সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর (BJP state president Rajeev Chandrasekhar)। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

DID YOU
KNOW
?
শবরীমালা মন্দিরে চুরি
কেরলের শবরীমালা মন্দির থেকে সোনা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সরব কেরলের রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর।

Rajeev Chandrasekhar: কেরলের (Kerala) বিখ্যাত শবরীমালা মন্দির (Sabarimala Sree Dharma Sastha Temple) থেকে সোনা চুরির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর (BJP state president Rajeev Chandrasekhar)। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Union Home Minister) চিঠি দিয়েছেন। শবরীমালায় ৩০ বছরের পুরনো লেনদেন নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজীব। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা মারাত্মক। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন। পুণ্যার্থীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তদন্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কেরলের বিজেপি সভাপতি। তাঁর এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সারা দেশ। কেরলে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শবীরামালা মন্দির থেকে সোনা চুরির অভিযোগ বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।

তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

শবরীমালা মন্দির থেকে সোনা চুরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের (Travancore Devaswom Board) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেরল হাইকোর্ট (High Court of Kerala & Lakshadweep)। চক্রান্তের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। উন্নীকৃষ্ণন পট্টিকে (Unnikrishnan Potty) সোনার গয়না দেওয়ায় ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতিরা বলেছেন, ২০১৯ সালে যে সোনা চুরির অভিযোগ উঠেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই উন্নীকৃষ্ণন পট্টিকে দ্বারপলাকা ভাস্কর্য দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দলকে (SIT) দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করে সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের কর্তারাই চক্রান্ত করেছেন?

ত্র্যাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের কর্তারাই সরাসরি সোনা চুরির চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। কেরল হাইকোর্টও সেই সন্দেহ করছে বলেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজীব। তাঁর আশা, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।