সংক্ষিপ্ত
ধৃত ব্যক্তি তাতাংচেনের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে বান্ধবীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানেই এই রক্তারক্তিকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। কিন্তু কেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রের খবর ধৃত ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছে তার বান্ধবী তার সঙ্গে কথা বলছিল না।
হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসক ও স্যানিটেশন অ্যাটেনডেন্টকে ছুরি দিয়ে কোপানোপর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে সিকিমের (Sikkim) রাজধানী গ্যাংটকের এসটিএনএম (STNM) হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে।
ধৃত ব্যক্তি তাতাংচেনের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে বান্ধবীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানেই এই রক্তারক্তিকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। কিন্তু কেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রের খবর ধৃত ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছে তার বান্ধবী তার সঙ্গে কথা বলছিল না। একাধিকবার ফোন করা সত্ত্বেও সেই তার গার্লফ্রেন্ড তার ফোন রিসিভ করেনি। তাই রীতিমত ক্রুদ্ধ হয়েই হাসপাতালে গিয়েছিল। তার বান্ধবী তারই এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে এসেছিল বলে সে জানতে পেরেছিল। তাই হাসাতালে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেতে চেয়েছিল সেই ব্যক্তি।
কিন্তু সেখানেও তার বান্ধবী তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তার সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে রাজি হয়নি। তারপরই সেই ব্যক্তি রেগে গিয়ে নিশানা করে এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও স্যানিটেশন অ্যাটেনডেন্টকে। চিকিৎসকের পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে স্যানিটেশন কর্মীকে আঘাত করে। রক্তমাখা ছুরি নিয়ে হাসপাতালে সেই ব্যক্তি যখন ঘোরাফেরা করছিল তখনই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু কেন ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ছুরি নিয়ে এসেছিল তার উত্তরে সে জানিয়েছে টাকা নিয়ে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে ভয় দেখানোর জন্যই হাসপাতালে ছুরি নিয়ে এসেছিল।
তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ সূত্রের খবর অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার শ্যালকের টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছে। তাই শ্যালকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল সে। কিন্তু শ্যালকের দেখা না পেয়ে হাসপাতালে আসে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেও বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। সেই রাগ গিয়ে পড়ে সামনে দাঁড়ানো অপরিচিত চিকিৎসকের ওপর। রাগ সামলাতে না পেরে চিকিৎসকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
পুলিশ জানিয়েছে চিকিৎস ও স্যানিটেশন কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে।