সংক্ষিপ্ত


তেলেঙ্গানায় (Telangana) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) উন্মোচন করা রামানুজাচার্যের (Ramanujacharya) 'দ্য স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি'ও (Statue of Equality) চিনে (China) তৈরি। এই নিয়ে মোদী সরকারকে (Modi Govt)-কে খোঁচা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)।  

গত শনিবারই (৬ ফেব্রুয়ারি), তেলেঙ্গানার (Telangana) ২১৬ ফুটের বিশাল 'দ্য স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' (Statue of Equality) বা 'সাম্যের মূর্তি' উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। কিন্তু, সেই মূর্তি নিয়েই এখন বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে মোদী সরকারকে (Modi Govt)। কারণ, ঘটা করে যে মূর্তির উদ্বোধন করা হয়েছে, সেটি আসলে চিনে (China) তৈরি। বুধবার এই নিয়ে মোদী সরকারকে ব্যঙ্গ করতে ছাড়লেন না রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।  

'নতুন ভারত কি চিন-নির্ভর'? 

টুইটে রাহুল এদিন খোঁচা দেন, 'স্ট্যাচু অব ইকুয়ালিটি মেড ইন চায়না। নতুন ভারত কি চিন-নির্ভর'? স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের (Atmavirbhar Bharat) আহ্বানকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। সেইসঙ্গে, যখন নরেন্দ্র মোদী সরকার, বিজেপি (BJP) এবং সঙ্ঘ পরিবার (RSS), চিনা পণ্যের উপর ভারতের নির্ভরতা কমানোর কথা বলেছে, সেই সময়ে এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রকল্পের বরাত কেন একটি চিনা সংস্থাকে দেওয়া হল, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। 

আরও পড়ুন - মোদীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম, খুদের কীর্তি দেখে হাসি চাপতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রীও

আরও পড়ুন - Statue Of Equality : 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি'-র উদ্বোধনে মোদী, দেশবাসীর জন্য দিলেন নতুন ঐক্যের বার্তা

আরও পড়ুন - কে ছিলেন রামানুজাচার্য, 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ উদ্বোধনে সাম্যের বার্তা মোদীর

কোন দেশে তৈরি, তা 'অপ্রাসঙ্গিক'

এই অবস্থায়, তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতারা বলছেন,  মূর্তিটি কোন দেশে তৈরি করা হয়েছে, তা 'অপ্রাসঙ্গিক'। মূর্তিটির পিছনে বৃহত্তর কারণ হল মানবতার প্রচার। রামানুজাচার্য (Ramanujacharya) ছিলেন একাদশ শতকের একজন মহান সমাজ সংস্কারক। তিনি সাম্য ও মানবতার প্রচার করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা চিনে তৈরি না আফ্রিকায় তৈরি - সেটা বিবেচ্য নয়। আমরা সবাই সমান, এই বার্তাই দেয় এই মূর্তি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাবনা থেকেই এই মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। তেলেঙ্গানা বিজেপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ছয় মাস ধরে আলাপ-আলোচনার পর, প্রধানমন্ত্রীর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ঠিক করেছিলেন। 

দৌড়ে ছিল ভারতীয় সংস্থাও

হায়দ্রাবাদের উপকণ্ঠেই স্থাপিত হয়েছে মূর্তিটি। ১০০০ তম জন্মবার্ষিকীতে উপলক্ষ্য়ে একাদশ শতকের ভক্তি সাধক শ্রী রামানুজাচার্যের এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। খরচ পড়েছে ১০০০ কোটি টাকা। কিন্তু, এই মূর্তি কি কোনও ভারতীয় সংস্থা তৈরি করতে পারত না? প্রকল্পের ওয়েবসাইট বলছে, মূর্তিটি তৈরির বরাত পেয়েছিল, চিনা সংস্থা 'অ্যারোসান কর্পোরেশন' (Aerosun Corporation)। সুউচ্চ মূর্তি তৈরির বিষয়ে বিশেষ দক্ষ তারা। তবে, তার আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্থারা এই প্রকল্পের জন্য দরপত্র দিয়েছিল। সেই দৌড়ে ভারতের একটি সংস্থাও ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সবদিক বিচার বিবেচনা করে অ্যারোসান'কেই বরাত দেওয়া হয়। 

মূর্তিটি ঢালাই করা হয়েছে চিনেই। স্থাপন করতে লেগেছে ১৫ মাসেরও বেশি সময়। ১৬০০টি টুকরো করে মূর্তিটিকে চিন থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। অ্যারোসান কর্পোরেশনের প্রায় ৭০ জন সদস্য হায়দরাবাদে এসে সেই খণ্ডগুলিকে একত্রিত করেছেন।