সংক্ষিপ্ত
স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটির উদ্বোধন করছিলেন মোদী। উদ্বোধনের পর সংগ্রহশালা ঘুরে দেখছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎই তাঁর পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়ে এক নাবালক। ওভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে সে।
শনিবার হায়দরাবাদে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেখানে ১১ শতকের ভক্তি সাধক শ্রী রামানুজাচার্যের (11th century devotional devotee Shri Ramanujacharya) স্মরণে ২১৬ ফুট উচ্চতার 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' (Statue of Equality) উন্মোচন করেন তিনি। আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই এক মজার ঘটনার সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটির উদ্বোধন করছিলেন মোদী। উদ্বোধনের পর সংগ্রহশালা ঘুরে দেখছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎই তাঁর পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়ে এক নাবালক। ওভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে সে। এদিকে এই ঘটনায় আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন না মোদী। প্রথমে তিনিও কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসিতে ফেটে পড়েন তিনি ও সেখানে উপস্থিতি অন্যরা। এরপর এক ব্যক্তি গিয়ে ওই নাবালককে তুলে নেন। ক্যামেরা বন্দী করা হয় সেই ভিডিও। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- কে ছিলেন রামানুজাচার্য, 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ উদ্বোধনে সাম্যের বার্তা মোদীর
উল্লেখ্য, সমাজের সব স্তরের মানুষের সমানাধিকারের পক্ষে ছিলেন রামানুজাচার্য (Ramanujacharya)। তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতি, ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষে সব মানুষ যাতে সমান অধিকার পায়। আর সেই সব মানুষকে নিয়েই সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই বৈদিক সন্ত তথা দার্শনিক শ্রী রামানুজাচার্যকে ( Saint Sri Ramanujacharya) শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Naredra Modi)। রামানুজাচার্যর ১০০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার তাঁর ২১৬ ফুট উঁচু মূর্তি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মূর্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্যাচু অব ইকুয়ালিটি’ (Statue of Equality)। তেলেঙ্গানায় হায়দরাবাদের (Hyderabad) নিকটস্থ সামশাবাদে ৪৫ একর জমিতে এই মূর্তি নির্মাণ করা হয়। আর এই মূর্তি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন মোদী।
আরও পড়ুন- 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি'-র উদ্বোধনে মোদী, দেশবাসীর জন্য দিলেন নতুন ঐক্যের বার্তা
সেই মূর্তি উন্মোচনের পর সেখানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল তার ক্ষমতা এবং অধিকারের লড়াই ছিল না। এই লড়াইয়ে একদিকে ছিল 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা', অন্যদিকে 'বাঁচতে দাও' ভাবনা। এতে একদিকে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও বস্তুবাদের হিস্টিরিয়া ছিল, অন্যদিকে ছিল মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি বিশ্বাস। এই যুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়, ভারতের ঐতিহ্য বিজয়ী হয়।" তিনি আরও বলেন, "এই সাম্যের মূর্তি আমাদের সমতার বার্তা দিচ্ছে। রামানুজাচার্য জি ভারতের একতা ও অখণ্ডতার এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা। তিনি দক্ষিণে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবে তাঁর প্রভাব দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম সমগ্র ভারতে রয়েছে। আজ রামানুজাচার্য জি-র বিশাল মূর্তি আমাদের সমতার বার্তা দিচ্ছে সমতার মূর্তি আকারে। এই বার্তা নিয়ে, 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস' মন্ত্রে আজ দেশ তার নতুন ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে।"