সংক্ষিপ্ত

হাইকোর্টে মুসলিম পক্ষের পক্ষে আইনজীবী এসএফএ নকভি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে হিন্দু পক্ষের আবেদনে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে যে মসজিদ কমপ্লেক্সের তিনটি গম্বুজের নীচে খনন করা হবে।

বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে এএসআই সমীক্ষার বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষের আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মুসলিম ও হিন্দু উভয় পক্ষই তাদের যুক্তি রাখে। মুসলিম পক্ষ দাবি করে যে জ্ঞানবাপী মসজিদ সেখানে বিগত এক হাজার বছর ধরে রয়েছে। ১৬৬৯ সালের পর কোনো সম্রাটের নির্দেশে এখানে কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি। এই জরিপে মসজিদ কমপ্লেক্সের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি দিবাকর বলেন, তাহলে আদালতের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখবে কী করে? এএসআই যখন আশ্বাস দিচ্ছেন যে সমীক্ষায় কাঠামোর কোনও ক্ষতি হবে না।

হাইকোর্টে মুসলিম পক্ষের পক্ষে আইনজীবী এসএফএ নকভি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে হিন্দু পক্ষের আবেদনে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে যে মসজিদ কমপ্লেক্সের তিনটি গম্বুজের নীচে খনন করা হবে। তিনি বলেছিলেন যে অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে আমরা সমস্যার বিশ্বাস করতে পারি না। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি তাকে প্রশ্ন করেন, তাহলে আদালতের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখবে কী করে? কারণ বারাণসী আদালত হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈনকে ভিডিওগ্রাফি করাতে বা মসজিদের কাঠামোর কোনও ক্ষতি হবে না এমন একটি বিবৃতি দিতে বলেছিল।

হিন্দু পক্ষ কি জবাব দিল?

প্রধান বিচারপতি যখন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈনকে প্রশ্ন করেন, বারাণসী আদালতের সিল করা এলাকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, সিলগালা গুদামে কোনো জরিপ কাজ করা হবে না। বিষ্ণু জৈন বলেছেন যে রাম মন্দির মামলায় এএসআই দ্বারা একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল এবং এটি হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করেছে। মসজিদটি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত এবং জেলা আদালতে হিন্দু মামলাকারীরা একই জায়গায় আগে একটি মন্দির বিদ্যমান ছিল কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একটি সমীক্ষা চেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে নকভি বলেন, রাম জন্মভূমি মামলায় সিদ্ধান্তের পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে তার উদাহরণ দেওয়া যায় না। যে জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে মন্দির থাকার কথা বলা হচ্ছে সেটি একটি বানানো গল্প। মসজিদের ঝর্ণাকে বলা হচ্ছে শিবলিঙ্গ।সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী দুই দিন অর্থাৎ ২৬ জুলাই পর্যন্ত বারানসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের কোনও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা যাবে না। বারাণসী আদালতের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকেই এই মসজিদে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া সার্ভে করেছিল। মসজিদ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এদিন মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে।