- Home
- India News
- অস্তিত্ব সঙ্কটে ভারতের প্রাচীনতম পর্বতমালা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরাবল্লী মামলা
অস্তিত্ব সঙ্কটে ভারতের প্রাচীনতম পর্বতমালা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরাবল্লী মামলা
Supreme Court On Aravalli Row: অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে ভারতের বৃহত্তম প্রাচীন পর্বতমালা আরাবল্লী। হিমালয়ের থেকেও পুরনো এই পর্বতমালা কেটে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হবে? প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এবার আরাবল্লী মামলায় হস্তক্ষেপ শীর্ষ আদালতের।

আদালতে আরাবল্লী মামলা
সঙ্কটের মুখে ভারতের সবথেকে প্রাচীন পর্বতমালা আরাবল্লী। হিমালয় পর্বতের থেকেও পুরনো এই পর্বতমালার অস্তিত্ব রক্ষায় রাজস্থান-হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। এবার আরাবল্লীর ভবিষ্যৎ নিয়ে হস্তক্ষেপ করল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। দায়ের হলো স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। সোমবার মামলার শুনানি হবে দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে।
আরাবল্লী মামলায় হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই আরাবল্লীর সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে একটি রায় দিয়েছিলেন। সেই সময় বলা হয়েছিল যে, ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১০০ মিটারের বেশি হলে তবেই সেই পাহাড়কে অরাবল্লী পাহাড়শ্রেণির অংশ বলা যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয়, বরং আশপাশের এলাকার চেয়ে ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার ভূখণ্ডই কেবলমাত্র অরাবল্লী পাহাড় বলে গণ্য হবে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রকের এই সংজ্ঞাতেই সিলমোহর দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরও থামছে না আরাবল্লী নিয়ে বিতর্ক।
আরাবল্লী পাহাড় সংরক্ষণের দাবি
যদিও তৎকালীন প্রধান বিচারপতির দেওয়া এই রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আরাবল্লীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশপ্রেমীরা। সূত্রের খবর, আরাবল্লী নিধন নয়। বরং তা সংরক্ষণের দাবিতে হরিয়ানা-রাজস্থানজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে এতদিন যে ভূখণ্ডকে আরাবল্লী পাহাড়শ্রেণি বলে গণ্য হয়ে এসেছে, তার ৯০ শতাংশই আর পরিবেশ সংরক্ষণ বিধির অধীনে সুরক্ষাযোগ্য থাকবে না। ফলে নির্বিচারে তা নিধন হয়ে যাবে। প্রশ্নের মুখে পড়বে এই সব অঞ্চলের বন্যপ্রাণীদের ভবিষ্যৎ।
আরাবল্লী ধ্বংস করে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ
জানা গিয়েছে, কোনও পাহাড়কে আরাবল্লীর অংশ বা সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সিলমোহর অনুযায়ী আদালতের শর্ত পূরণ করে তাহলে গোটা ভারতে মাত্র ১২ হাজার পর্বত এই আওতায় পড়বে। ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটারের কম উচ্চতা থাকলে তাকে আর পাহাড় বলে গণ্য করা হবে না। বা পর্বতমালা বলা হবে না। ফলে সহজেই আরাবল্লীর মতো বৃহত্তম প্রাচীন পর্বতমালা কেটে সহজেই হোটেল-পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যাবে। ফলে তৈরি হবে প্রকৃতির অস্তিত্ব সঙ্কট। এবার এই বিষয় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করল আদালত।
উত্তর ভারতের ঢাল নিয়ে আদালতে মামলা
আরাবল্লী হলো উত্তর ভারত অর্থাৎ হরিয়ানা-রাজস্থান, গুজরাটের ঢাল। কারণ, এই পর্বতমালা না থাকলে ভারতে মৌসুমি জলবায়ুর প্রবেশে বাধা ঘটত। ফলে সারাবছরই শীতকাল থাকত উত্তর ভারতে। এমনকি আরও প্রসারিত হয়ে যেত থর মরভূমি। যা ভারতের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতো। সূত্রের খবর, শনিবারই সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ছাড়াও অবকাশকালীন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী, বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ। আগামী ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার এই মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

