সংক্ষিপ্ত

বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের বহু স্কুলের বেহাল দশা। লাটে উঠেছে বাচ্চাদের পড়াশোনা। এই পরিস্থিতিতে এবার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করল Supreme Court। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পড়াতে শি

নয়দিল্লি: বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের বহু স্কুলের বেহাল দশা। লাটে উঠেছে বাচ্চাদের পড়াশোনা। এই পরিস্থিতিতে এবার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করল Supreme Court। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পড়াতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত।

সূত্রের খবর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পড়াতে শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত পদ তৈরি করে রাজ্যগুলিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম মেনে শিক্ষক নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্রুত নিয়োগ করা হোক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি কে বিনোদের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা কর্মরত থাকলে তাঁদেরও যোগ্যতার নিরিখে চাকরিতে স্থায়ী করতে হবে এবং সমতুল্য বেতনও দিতে হবে। জানা গিয়েছে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষক নিয়োগের এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি আদালতের রায় ঘোষণার ১২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে (Supreme Court)। মামলার আবেদনকারী গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে অনেক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রয়েছেন। এই রায়ের ফলে এবার তাঁরাও স্থায়ী শিক্ষক এবং স্থায়ী পদের বেতন পাবেন।

সূত্রের খবর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষকরা যোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ওইসমস্ত শিক্ষকরা স্থায়ী বেতন ক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে তাঁদের আগের চাকরির অভিজ্ঞতা আর কোনও কাজে লাগবে না বরেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে অনেক বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন এমন বয়স্ক শিক্ষকদের বয়সের ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

সুপ্রিম নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, এমন কিছু রাজ্য আছে, যেখানে বহু শিক্ষকরা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। তাঁদেরকে এবার থেকে বেতনক্রমের আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে এই সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা যআচাই কমিটিতে কারা থাকবেন তাও ঠিক করে দিয়েছেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের

শিক্ষা সচিব, প্রতিবন্ধী কমিশনার, RCI-এর এক প্রতিনিধি। শুধু তাই নয়, কোনও রাজ্যে যদি প্রতিবন্ধী কমিশনারের পদ ফাঁকা থাকে তাহলে ওই কমিটিতে থাকতে পারবেন সেই রাজ্যের আইন সচিবও।

উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে দেশের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ার সংখ্যা সবথেকে বেশি উত্তরপ্রদেশে। তারপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায়- ১ লক্ষ ৩৫ হাজার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।