সংক্ষিপ্ত

নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র নেতা সায়ন লাহিড়ীর জামিন মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মন্তব্য, 'এই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত'।

সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর ইস্যুতে আবারও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। পাল্টা বড় জয় পেল পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র সমাজ। সংগঠনের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীর জামিন মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিৎ।' নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল সায়নকে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপরই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বরস্থ হয়।

রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের জেপি পারদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের পর্যবেক্ষণ ছাত্র নেতার জমিন মঞ্জুর হওয়াই উচিৎ। এদিন শুনানিতে রাজ্য সরকার বলেছিল, সায়ন লাহিড়ী ২৭ অগাস্ট নবান্ন চলো কর্মসূচির আয়োজকদের মধ্যে একজন। এই কর্মসূচিতে ৪১ জন পুলিশ জখম হয়েছে। যারমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক!তারপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন ছিল, অভিযুক্ত কী সরাসরি এই ঘটনায় যুক্ত? উত্তরে রাজ্য বলে না। কিন্তু তিনি আহ্বায়ক। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ জামিন পাওয়ার মতোই যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন ছিল একজন ছাত্র কীভাবে ৪১ জন পুলিশকে আহত করতে পারে? এই আবেদন জামিন সংক্রান্ত এর বাইরে কিছু নয়। রাজ্য জানায় সায়নের মা বলেছেন ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সেটাই তো পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে। গ্রেফতারের পরে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ হেফাজতে পাঠালেও কাইকোর্ট মুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আরজি কর হসপাতালে চিকিৎসক হত্যা ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। বুধবার অভিযান কর্মসূচি। মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি পুরোপুরি অবৈধ ও বেআইনি।