সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে আবারও বাবা রামদেব। এবার আধুনিক ওষুধ ব্যবস্থা অর্থাৎ অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনের জন্য রামদেবকে তীব্র তিরস্কার করেছে। পাশাপাশি রামদেবকে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, 'আয়ুর্বেদে যে সমস্ত রোগ নিরাময় হবে তার গ্যারান্টি কী ?
সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে আবারও বাবা রামদেব। এবার আধুনিক ওষুধ ব্যবস্থা অর্থাৎ অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনের জন্য রামদেবকে তীব্র তিরস্কার করেছে। পাশাপাশি রামদেবকে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, 'আয়ুর্বেদে যে সমস্ত রোগ নিরাময় হবে তার গ্যারান্টি কী ?' এই মামলার পরবর্তী শুনানি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে।
পতঞ্জলিকে নোটিশ
সুপ্রিম কোর্ট রামদেব বাবার কোম্পানি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে একটি নোটিশ জারি করেছে। ভারতের মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল পতঞ্জলি মিথ্যা আর দুষিত বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করছে। তারই ভিত্তিতে এদিন রামদেব আর তাঁর সংস্থা পতঞ্জলিকে তীব্র সমালোচনারক মুখে পড়তে হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য
'বাবা রামদেবের কী হয়েছে? সে তার সিস্টেমকে জনপ্রিয় করতেই পারে। কিন্তু অন্য কোনও সিস্টেমের সমালোচনা করবে কেন? আমরা সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তিনি যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করেছেন। কিন্তু অন্য কোনও সিস্টেম বা ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করা উচিৎ নয়। আয়ুর্বেদে যে সমস্ত রোগ সাতে তারই নিশ্চয়তা কোথায়? তিনি জাক্তার সিস্টেম অস্বীকার করতে পারেন না। অন্যান্য সিস্টেমের অপব্যবহার তাঁকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।' এই মামলায় এই মন্তব্য করছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএমএ। সংস্থার দাবি ছিল আধুনিক ওষুধ, ডাক্তার, ও কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রচার ও নেতিবাচক বিজ্ঞাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ। তাতেই এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালত, কেন্দ্র, স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য সংস্থাকে আইএমএ-র আবেদনের জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।
আইএমএ-র আবেদন
আইএমএ তাদের আবেদনে বলেছিল যে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলি, কোভিড -19কে সারিয়ে দেওযার করার দাবি করেছে এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। যা চিকিৎসা পেশার ওপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলছে। "ভুল তথ্য ছড়িয়েছে" যার যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সংস্থাটি সাধারণ মানুষের কাছে দোষী । আইএমএ-র আইনজীবী জানিয়েছেন, এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁরা প্রতিবাদ শুরু করেছিলেনে। সেই সময় সংসদেও বিষয়টি উঠেছিল। তখন অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বলেছিলেন এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই মাসের শুরুতে, দিল্লি হাইকোর্ট, বাবা রামদেবের পতঞ্জলি 'করোনিল' সম্পর্কিত একটি আবেদনের শুনানি করার সময়, পর্যবেক্ষণ করেছে যে অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে জনগণকে অবশ্যই বিভ্রান্ত করা উচিত নয়।
দীলিপ ঘোষের 'সিবিআই সেটিং' মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শীর্ষ বিজেপি, রিপোর্ট তলব অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার
'বলিউডের পাপ্পুফিকেশন হচ্ছে', রাহুলের সঙ্গে হিন্দি সিনেমার তুলনা স্বরা ভাস্করের