আবারও শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে টানাটানি! TET পরীক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
টেট পরীক্ষা বাধ্যতামূলক কিনা এই মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে।

চাকরি নিয়ে টানাটানি!
২৬ হাজার চাকরি বাতিলের অস্বস্তি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্য। তারই মধ্যে এবারও স্কুল শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানাটানি। টেট পরীক্ষা নিয়ে বড় রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষকতা করতে হলে বা সরকারি স্কুলে চাকরি করতে হলে বা শিক্ষকতার চাকরিতে পদোন্নতির জন্য টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেই হবে। এটি বাধ্যতামূলক।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
টেট পরীক্ষা বাধ্যতামূলক কিনা এই মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতার চাকরিতে আর থাকা যাবে না।
ছাড় এদের জন্য
সুপ্রিম কোর্ট এক শ্রেণির শিক্ষকদের অবস্য ছা়ড় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যেসব শিক্ষক ২০০৯ সালে শিশুদের বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে শিক্ষর অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তাদের জন্য টেট পাশ করার জন্য অতিরিক্ত ২ বছর সময় দিয়েছে।
বড় নির্দেশ
আদালত নির্দেশ অনুযায়ী যারা টেট-এ পাশ করবেন না তাদের হয় চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। অথবা টার্মিনাল বেনিফিট নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হবে। ২০১১-র ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। তবে সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠানের জন্য টেট বাধ্যতামূলক কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠান হয়েছে।
আসন্ন আবসর যাদের তাদের ছাড়
বাস্তবের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, যাঁদের অবসর পেতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁদের জন্য ছাড়। তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরি করে অবসর নিতে পারবেন। কিন্তু এই সময়ে পদোন্নতি পাবেন না।

