- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- একদম মাথা লক্ষ্য করে গুলি! ফ্রি ফায়ার গেম দেখেই ঈশিতাকে খুনের ছক দেশরাজের
একদম মাথা লক্ষ্য করে গুলি! ফ্রি ফায়ার গেম দেখেই ঈশিতাকে খুনের ছক দেশরাজের
কৃষ্ণনগরের কলেজ ছাত্রী ঈশিতা মল্লিক খুনে নয়া মোড়। কী করে দেশরাজ সিং খুনের ছক কষেছিল তা স্পষ্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। জেরায় দেশরাজ জানিয়েছে মোবাইল গেম থেকেই ঈশিতাকে খুনের ছক কষেছিল।

ঈশিতা খুনে নয়া মোড়
কৃষ্ণনগরের কলেজ ছাত্রী ঈশিতা মল্লিক খুনে নয়া মোড়। কী করে দেশরাজ সিং খুনের ছক কষেছিল তা স্পষ্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। জেরায় দেশরাজ জানিয়েছে মোবাইল গেম থেকেই ঈশিতাকে খুনের ছক কষেছিল। জেরায় এমনই সব তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ যা রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে তদন্তকারীদের। অনলাইন মোবাইল গেমে আশক্ত ছিল দেশরাজ।
দেশরাজকে জেরা
উত্তর প্রদেশের নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দেশরাজ সিংকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জেরায় উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। পুলিশ সূত্রের খবর দেশরাজ অনলাইন গেমে আশঙ্ক ছিল। 'ফ্রি ফায়ার' নামে একটি অনলাইন মোবাইল গেম সে খেতল। সেই গেম থেকেই প্রেমিকা ঈশিতাকে খুনের ছক কষেছিল।
জেরায় দেশরাজের স্বীকার
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় দেশরাজ স্বীকার করে নিয়েছে সেই খুন করেছে ঈশিতাকে। হাতে পিস্তল পাওয়ার পরই খুনের ছক করেছিল। ফ্রি ফায়ার গেমের নিয়ম মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারলে তবেই বেশি নম্বর। সেই থেকেই ঈশিতাকেই মাথা লক্ষ্য করে খুনের পরিকল্পনা করে।
রক্ত দেখেও ভয়হীন!
পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে অনলাইন গেমে রক্ত দেখে দেশরাজ এতটাই অভ্যস্ত ছিল যে ঈশিতাকে মাথা লক্ষ্য় করে গুলি করার পর রক্ত দেখেও সে ঘাবড়ে যায়নি। রীতিমত অবিচল ছিল। স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিন্তাভাবনা। কিন্তু ঈশিতাকে খুন করে কেন সে সেই বাড়িতে রয়ে গিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঈশিতার মা ও ভাইকেও কী দেশরাজ খুন করতে চেয়েছিল- এই উত্তর এখনও অধরা পুলিশের কাছে।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় থাকত দেশরাজ
পুলিশ সূত্রের খবর অনলাইন গেমে অভ্যস্ত দেশরাজ সর্বদাই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বাস করত। অত্যন্ত রুঢ়় ছিল তার ব্যবহার। পড়াশুনাও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। বন্ধ ও বান্ধবীরাও দেশরাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল। অন্যান্যদের মত ঈশিতাও দেশরাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল। ঈশিতার এই প্রত্যাখান মেনে নিতে না পারেতেই খুন করেছিল দেশরাজ।
পুলিশের কথা
কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশ কমিসনার জানিয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই ১৩-১৪ বছরের ছেলে মেয়েরা সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ক থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই তারা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফ্রি ফায়ারের মত একাধিক গেম খেলতে খেলতে হিংসা-রাগ তাদের মনের গভীরে গেঁথে যায়। সেই কারণেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী দিনে স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দেশরাজকে সনাক্তকরণ
পুলিশ সূত্রের খবর বুধবার ঈশিতার বাবা,মাকে জেলে নিয়ে গিয়ে দেশরাজকে চিহ্নিতকর বা টিআই প্যারেড করানো হবে। অন্যদিকে দেশরাজের বাবা বিএসএফ কর্মী রঘুবিন্দরপ্রতাপ সিংকে উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হতে পারে। বিএসএফ-এর কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন তিনি নিরাপত্তারক্ষী হয়েও ছেলেকে আড়াল করার চেষ্টা করলেন তাও জানতে চায় পুলিশ।

