সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ। বাংলাদেশের হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারক বলেন, আদালত নিজ উদ্যোগে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারও ইসকনকে 'ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন' বলে অভিহিত করে। কিন্তু আজ সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ইসকন নিষেধাজ্ঞার আবেদন
সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশের পরিবেশ উত্তপ্ত। এরপর বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও আজ আদালতে তাদের পক্ষ পেশ করে। সহিংসতা ও অস্থিরতা রোধে এই পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা তিনি আদালতকে জানান। যদিও বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলেনি। বরং সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে খবর। সরকার বসে নেই।
ওই দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদউদ্দিন। বিচারপতি পারহা মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চকে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। একটিতে ১৩, ১৪ ও ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে আরও ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ খুবই তৎপর।