সংক্ষিপ্ত

দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। আলমারি থেকে দেহ উদ্ধার হল এক যুবতীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির দ্বারকা এলাকায়।

দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। আলমারি থেকে দেহ উদ্ধার হল এক যুবতীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির দ্বারকা এলাকায়। দিল্লির দ্বারকায় ভিপল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন এক যুবতী। বেশ কয়েকদিন ধরেই তার মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না যুবতীর বাবা। তারপর দেরি না করে মেয়ের খোঁজে দিল্লি রওনা দেন তিনি। আর সেখানে পৌঁছেই মেয়ের মৃতদেহ দেহ খুঁজে পান আলমারির মধ্যে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর দেহ। এই ঘটনায় যুবতীর লিভ-ইন পার্টনারকেই সন্দেহ করছেন তার বাবা। দিন কয়েক ধরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গত বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ পুলিশের কাছে যুবতীর মৃত্যুর খবর আসে। এই খবর পাওয়া মাত্রই দ্বারকার রাজাপুরী এলাকার সংশ্লিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে যায় ডাবরি থানার একটি দল।

পুলিশ সূত্র মারফত জানা যায়, প্রথমে ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশের দল তারপর একটি ঘরের আলমারির মধ্যে থেকে ওই যুবতীর দেহটি উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে ক্রাইম টিম এবং এফএসএল । মেয়ের লিভ-ইন পার্টনার ভিপল টেলরের হাতেই খুন হয়েছেন তাঁর মেয়ে। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই মৃত যুবতীর বাবা। অটোপ্সির জন্য আপাতত ওই যুবতীর মৃতদেহ ডিডিইউ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত যুবতীর বাবা জানিয়েছেন, " মেয়ে মাঝেমাঝেই বলত যে, লিভ-ইন পার্টনার ভিপল তাঁকে মারধর করতেন। এমনকী ভিপলের হাতে খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিল।"

জানা গিয়েছে, গত দেড় মাস ধরে লিভ-ইন পার্টনার ভিপলের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই ভাড়া করে থাকছিলেন ওই যুবতী। অভিযুক্ত ভিপল সুরাটের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত তাকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভিপলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন)-র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।