সংক্ষিপ্ত
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। জঙ্গিরা সঞ্জয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, এরপর তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হাসপাতালেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা প্রতিনিয়ত জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। খোদ পুলওয়ামাতেই আবারও এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। মৃতের নাম জানা গিয়েছে সঞ্জয়, তিনি একটি ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। বাজারে কিছু কেনাকাটা করতে বের হলে জঙ্গিদের হামলার শিকার হন তিনি। এই ঘটনা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মনে জঙ্গিদের হামলার ভয়কে আরও দৃঢ় করেছে। নব্বইয়ের দশকে উপত্যকা থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া পণ্ডিতদের পুনর্বাসন পরিকল্পনায় এই টার্গেট কিলিং মোদী সরকারের জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। জঙ্গিরা সঞ্জয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, এরপর তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হাসপাতালেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ বলছে, জঙ্গিরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
ফারুক আবদুল্লাহ রক্তপাত বন্ধের আবেদন জানান
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলেছে যে জঙ্গিদের সন্ধান শুরু হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। এই সময়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের নরকে জ্বলতে হবে। ফারুক আবদুল্লাহ উপত্যকার মুসলমানদের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে এই রক্তপাত বন্ধ করা উচিত।
পুনর্বাসন পরিকল্পনা কিভাবে সম্পন্ন হবে?
পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, এই সব ঘটনা বিজেপিকে লাভবান করে। তিনি বলেছেন যে বিজেপি এই ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছে। এটা লক্ষণীয় যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের প্রতি ক্রমাগত তার প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছে, কিন্তু গত কয়েক বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের টার্গেট কিলিং জনগণকে আতঙ্কিত করছে এবং এই আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে। মোদী সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা জঙ্গি হামলার কারণে ব্যর্থ হতে পারে।
উল্লেখ্য জম্মু কাশ্মীরে টার্গেট কিলিং বন্ধ করতে বেশ কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করেছে পুলিশ। এ জন্য পুলিশ নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SoP) এবং এরিয়েল ডমিনেশন প্ল্যান (ADP) বাস্তবায়ন করেছে। এই নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কাশ্মীর পণ্ডিত এবং অ-স্থানীয়দের টার্গেট কিলিং থেকে বাঁচানো এবং হাইব্রিড জঙ্গিদের নির্মূল করা। নতুন এসওপি এবং এডিপির অধীনে, এখন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শুধুমাত্র জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্যের জন্য অপেক্ষা করবে না, তার বদলে জওয়ানরা শ্রীনগর এবং সন্ত্রাস প্রভাবিত এলাকায় রাস্তায় টহল দেবে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিয়োজিত হাইব্রিড জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে। এতেই একমাত্র টার্গেট কিলিং বন্ধ করা যেতে পারে ও জঙ্গিদের ব্যর্থ করা যেতে পারে।