জাতীয় জনগণনার জন্য কী কী কাগজ হাতে রাখবেন? শুরু হচ্ছে ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারি থেকে
শোনা যাচ্ছে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে চলছে জাতীয় জনগণনা। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে। এবার জনগণনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হবে মোবাইল অ্যাপলিকেশন।

জাতীয় জনগণনা
শোনা যাচ্ছে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে চলছে জাতীয় জনগণনা। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে। এবার জনগণনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হবে মোবাইল অ্যাপলিকেশন। আর জাতীয় জনগণনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত ১১,৭১৮,২৪ টাকা অনুমোদন দিয়েছে।
দুই পর্যায়ে কাজ
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে জাতীয় জনগণনায় এবার দুই পর্যায় কাজ হবে। প্রথম পর্যায় ঘর গণনা করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায় জনসংখ্যার গণনা হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই প্রক্রিয়া চলবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ডের মত একাধিক পাহাড়ি এলাকায় জনগণনার কাজ হবে সেপ্টেম্বর মাসে।
জাতিভিত্তিক তথ্যে জোর
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর এই প্রথমবার বিরোধীদের দাবি মেনে জাতিভিত্তি তথ্য সংগ্রহ করা হবে জনগণনায়। দ্বিতীয় পর্যায় ইলেকট্রনিক ফরম্যাটের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে এই তথ্য তোলা হবে বলেও জানা গিয়েছে। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে ৩০ লক্ষ ফিল্ড ওয়ার্কার প্রয়োজন হবে।
হাতের কাছে রাখুন
জনগণনার জন্য আপনি আপনার হাতের কাছে কিছু তথ্য রাখুন। সেগুলি হল, আপনার ও পরিবারের সদস্যদের নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ, বিয়ে হলে তার সার্টিফিকেট, জাতি বা বর্ণের সার্টিফিকেট। সামাজিত তথ্যও প্রয়োজন হবে। আপনার আর পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, পেশা, ভাষা, অক্ষমতার অবস্থা, অভিবাসনের ইতিহাস (যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পরিবার অন্যত্র থেকে এসে থাকেন।) আর প্রয়োজন বাড়ির ধরন, জল ও বিদ্যুতের উৎস। শৌচাগারের সুবিধে রয়েছে কিনা তার তথ্য।
কী কী কাগজ প্রয়োজন
সাধারণত জনগণনার জন্য কোনও কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে এবার জনগণনা কমিশনার প্রয়োজনে আধার বা ভোটার কার্ড দেখতে চাইতে পারেন। জনগণনার জন্য সঙ্গে যদি সিএএ বা এনআরসি হয় তাহলে একাধিক কাগজের প্রয়োজন হবে।

