- Home
- India News
- Indian Railway: দেশের একমাত্র ট্রেন যেখানে তিনবেলা বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়! জানুন এই ট্রেনের মেনু-সহ অজানা রহস্য
Indian Railway: দেশের একমাত্র ট্রেন যেখানে তিনবেলা বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়! জানুন এই ট্রেনের মেনু-সহ অজানা রহস্য
এই ট্রেনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সকালের জলখাবর, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার দেওয়া হয়। ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের নানা রকম খাবার পরিবেশন করা হয়, যার খরচ বহন করে কে বা কারা?

ভারতে রেলপথ কেবল ভ্রমণের মাধ্যম নয় বরং মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করে - স্কুল, অফিস, মন্দির, আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করতে অথবা পর্যটনের জন্য।
কিন্তু আপনি কি কখনও এমন কোনও ট্রেনের কথা শুনেছেন যেখানে আপনি বিনামূল্যে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার পান?
যদি আপনি এটির কথা না শুনে থাকেন, তাহলে ভারতের এমন একটি অনন্য ট্রেনের বিষয়ে জানুন।
এই ট্রেন আপনাকে কেবল আপনার গন্তব্যে নিয়ে যায় না, বরং পুরো যাত্রা জুড়ে আপনাকে দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করে - এবং তাও এক পয়সাও চার্জ ছাড়াই।
অন্যান্য ট্রেনে খাবারের জন্য টাকা দিতে হলেও, সচখণ্ড এক্সপ্রেসে, পুরো যাত্রা জুড়ে যাত্রীদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়।
আর এটা কেবল একবার নয়, বরং যাত্রার প্রতিটি ধাপে ঘটে - সকাল, দুপুর এবং রাত।
যাত্রার সময় পরিবেশিত খাবারের মধ্যে রয়েছে কাড়ি-ভাত, ছোলা-ভাটুরে, খিঁচুড়ি, ডাল-ভাত, আলু-ফুলকপির তরকারি, রুটি এবং আচার। সময় এবং স্থান অনুসারে খাবারের মেনু পরিবর্তিত হয়।
নান্দেদ (মহারাষ্ট্র) থেকে অমৃতসর (পাঞ্জাব) পর্যন্ত পুরো যাত্রা জুড়ে, ৬টি প্রধান স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করা হয়।
মোট দূরত্ব প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির প্রায় ৩৩ ঘন্টা সময় লাগে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলি হল দিল্লি, ভোপাল, পারভানি, জালনা, ঔরঙ্গাবাদ, মারাঠওয়াড়া।
এই ট্রেনটির নাম সচখণ্ড এক্সপ্রেস, যা মহারাষ্ট্রের নান্দেদ থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসর পর্যন্ত চলে।
এই ট্রেনটি দুটি প্রধান শিখ তীর্থস্থান - শ্রী হজুর সাহেব নান্দেদ এবং শ্রী হরমন্দির সাহেব (স্বর্ণ মন্দির), অমৃতসরকে সংযুক্ত করে। এই ট্রেনটি কেবল যাত্রীবাহী বাহন নয় বরং আধ্যাত্মিক যাত্রার একটি মাধ্যম।
তুমি নিশ্চয়ই ভাবছো কে এত চমৎকার এবং নিরন্তর সেবা প্রদান করে? গুরুদ্বারগুলি কর্তৃক প্রাপ্ত অনুদান থেকে খাদ্য ও পানীয় ব্যবস্থার সমস্ত খরচ বহন করা হয়।
এই গুরুদ্বারগুলিতে আসা ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় দান করেন এবং একই অর্থ ভ্রমণকারীদের সেবায় ব্যবহৃত হয়।
এই পুরো উদ্যোগের পেছনের চেতনা হল "লঙ্গর" এর শিখ ঐতিহ্য - যেখানে জাতি, ধর্ম, শ্রেণী ইত্যাদি নির্বিশেষে সকলকে খাবার পরিবেশন করা হয়।

