সংক্ষিপ্ত
সি-ভোটারের সমীক্ষায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস বড় লিড পেয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ-র ভোট শেয়ার এবং আসন বাড়তে পারে।
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের পথ ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য খুব একটা যে সহজ হবে, তা কিন্তু নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেস কড়া টক্কর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবিরকে। ২০১৪ সাল থেকে, কিছু রাজ্যে কংগ্রেসের আসন কমতে পারে, কিন্তু ইউপিএ অনেক জায়গায় পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেয়েছে। এখন সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় সামনে এসেছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের ৬২টির বেশি আসন বাড়তে পারে।
সি-ভোটারের সমীক্ষায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস বড় লিড পেয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ-র ভোট শেয়ার এবং আসন বাড়তে পারে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসকে চাঙ্গা করেছে। কংগ্রেসের বহু মানুষ বিস্তৃত স্তরে যুক্ত। এখন ২০২৪ লোরসভা নির্বাচনের ফলে কংগ্রেস আশার আলো দেখছে।
সি ভোটার সমীক্ষা কী বলছে?
সি-ভোটার এবং ভারতের সমীক্ষা অনুসারে, জানুয়ারি মাসে যে সমীক্ষাটি বেরিয়েছিল, আজ যদি নির্বাচন হয় তবে এনডিএ ৪৩ শতাংশ ভোট পাবে। একই সময়ে ইউপিএ ৩০ শতাংশ এবং অন্যদের ২৭ শতাংশ ভোট পাওয়ার অনুমান করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান সত্য প্রমাণিত হলে বিজেপির অসুবিধা সত্যিই বাড়তে পারে।
কংগ্রেসের আসন কত বাড়ছে?
আজ নির্বাচন হলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ১৫৩টি আসন পেতে পারে। এই পরিসংখ্যান স্পষ্টতই বিজেপি পছন্দ করবে না। এই সমীক্ষা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি নতুন ভাবে নিজেদের কৌশল তৈরি করতে পারে।
কংগ্রেসের দাবি ‘মোদী সরকারের তথাকথিত শাসন মডেল জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের সুবিধা করে দিয়েছে। ৯ বছরে, ভারতীয়রা প্রত্যক্ষ করেছে জুমলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, রেকর্ড বেকারত্ব এবং শূন্য জবাবদিহি!’ এছাড়াও বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, বিজেপির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ স্লোগানকে টুইস্ট করে কটাক্ষের সুরে কংগ্রেস লেখে, ‘কুছকা সাথ.. কুছ কা বিকাশ’, অর্থাৎ কিছু জনের সঙ্গ আর কিছু জনের বিকাশ। এক্ষেত্রে দেশের কোটিপতি ব্যবসায়ীদের নাম না করে আদানি ও আম্বানি গোষ্ঠীকে কংগ্রেস আক্রমণ করেছে বলে মনে কার হচ্ছে। এছাড়াও অন্য এক স্লোগানে কংগ্রেস লেখে ‘সবকে সাথ বিশ্বাসঘাত’। যেখানে বিজেপি সকলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।
তবে ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসের পালে যে নতুন করে হাওয়া দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে কী পেল কংগ্রেস? এর উত্তর একদম সহজ। আপাতদৃষ্টে ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে কংগ্রেসের একমাত্র যোগ হলো রাহুল গান্ধীর উত্থান। এই যাত্রার মাধ্যমে রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হিসেবে বাকি সবার থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখলেন। অন্তত, দিল্লির আখড়ায় সেই আলোচনাই চলছে।