সংক্ষিপ্ত

প্রতিটি পরিবারের বার্ষিক আয় ৭০ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা।

২০১৯ সালে এই গ্রামই ভারতের ধনীতম গ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছে।

অথচ ১৯৯০ সালের আগে অবস্থাটা এইরকম ছিল না।

তিন দশকে কিসের জোরে খুলল গ্রামবাসীদের ভাগ্য?

 

হিমাচল প্রদেশের মাদাভাগ গ্রাম। সিমলা তো অনেকেই বেড়াতে যান। সেই সিমলা শহর থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রায় প্রতিটি পরিবারের বার্ষিক আয় ৭০ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালে এই মাদাভাগ ভারতের সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ অবস্থাটা এইরকম ছিল না। বদলটা আসে ১৯৯০ সালে।

বছরে ৭০ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা আয় শুনে অনেকেই মনে করতে পারেন, এই গ্রামে বোধহয় শিল্পপতিরা থাকেন। কিংবা, সুপরিচিত নামি দামি সংস্থায় কাজ করেন এখানকার বাসিন্দারা। না, কোনও শিল্পপতি বা মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার চাকুরে এখানে থাকেন না। মাদাভাগ-এর সকলেই চাষী, আপেল চাষী। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অবশ্য এই গ্রামে আপেল চাষ হত না। তার পরের বছর গ্রামের এক চাষী প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস।

দেখা যায় মাদাভাগ-এর মাটিতে যাদু আছে। রয়েল অ্যাপল, রেড গোল্ড, গেইল গালার - বিশ্বের অন্যতম সেরা মানের আপেলগুলির চাষ হয় এই গ্রামে। মাদাভাগ আপেল আকারেও খুব বড় হয়। এই আপেলগুলি মান এত ভালো যে অনেকদিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। তাঁর সাফল্য দেখে একে একে গ্রামের সকলেই এই পেশায় চলে আসেন। প্রতি বছর শুধুমাত্র এই গ্রামে প্রায় ৭ লক্ষ বাক্স আপেল উৎপাদিত হয়। আর গত তিন দশকে এই আপেলের জোরেই গ্রামের প্রতিটি চাষী পরিবার ধনী হয়ে উঠেছে। আর সন্তানস্নেহে যত্ন নেন বাগানের প্রতিটি আপেল গাছের।