সংক্ষিপ্ত

লোকসভার স্পিকার বৃহস্পতিবার বলেছেন,  আগে এজাতীয় অসম শব্দের একটি বই প্রকাশ করা হয়। কগজপত্রের খরচ এড়াতে আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা এটি ইন্টারনেটে রেখেছি। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। 

সংসদে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে এমনই ঘোষণা করা হয়েছিল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দেশের রাজনীতি। বিরোধীরা ক্রমাগত আক্রমণ করেছিল মোদী সরকারকে। এই অবস্থায় আসরে নেমে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা । জানিয়েছেন কোনও শব্দই পার্লামেন্টে নতুন করে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই তালিকাটি ছিল যা নিছকই একটি অভিব্যক্তির সংকলন, যা অতীরে রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকাই নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। 


লোকসভার স্পিকার বৃহস্পতিবার বলেছেন,  'আগে এজাতীয় অসম শব্দের একটি বই প্রকাশ করা হয়। কগজপত্রের খরচ এড়াতে আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা এটি ইন্টারনেটে রেখেছি। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। আমরা অপসারিত শব্দগুলির একটি সংকলন জারি করেছি।' এরপরই ওম বিড়লা বিরোধীদের কটাক্ষ করে জিজ্ঞাসা করেন 'তাঁরা কি ১১০০ পৃষ্ঠার ওই অভিধানটি (অসংসদীয় শব্দ সমন্বিত) পড়েছেন? যদি তারা পড়ে থাকতেন তাহলে ভুল ধারনা ছড়াত না।' তিনি আরও বলেছেন এটি ১৯৫৪ সাল থেকেই চলে আসছে। ১৯৮৬, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯  ও ২০১০ সালেই প্রকাশিত হয়েছিল। 

জুমলাজীবী, বাল বুদ্ধি, কোভিড স্প্রেডার, বিশ্বাসঘাতক, দূর্ণীতিগ্রস্ত, নাটক, ভণ্ডামি-সহ  বেশ কয়েকটি শব্দ আগামী দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় উচ্চারণ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণার পরই আসরে নেমে পড়েছিল বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ও ডেরেক ওব্রায়ন সকলেই সরব হয়েছিলেন। এই বিষয় নিয়েই রাহুল গান্ধীর টুইট নতুন অভিধান নতুন ভারতের ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরই ওম বিড়লা জানিয়ে দেন কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। 

অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রয়েছে -- রক্তপাত', 'রক্তাক্ত', 'বিশ্বাসঘাতক', 'লজ্জিত', 'গালাগালি', 'প্রতারিত', 'চামচা', 'চামচাগিরি', 'চেলাস', 'শিশুত্ব', 'দুর্নীতি', 'কাপুরুষ', 'অপরাধী' এবং 'কুমিরের কান্না', 'অসম্মান', 'গাধা', 'নাটক', 'চোখবাজি', 'ফাজ', 'গুণ্ডামি', 'ভন্ডতা', 'অযোগ্য', 'বিভ্রান্তি', 'মিথ্যা', 'অসত্য', 'নৈরাজ্যবাদী', 'গদ্দার', 'গিরগিট', 'গুন্ডা', 'ঘদিয়ালি আনসু', 'আপমান', 'আসত্য', 'অহঙ্কার', 'দুর্নীতিগ্রস্ত', 'কালা দিন', 'কালা বাজার', 'খারেদ ফারুক' ', 'ডাঙ্গা', 'দালাল', 'দাদাগিরি', 'দোহরা চরিত্র', 'বেচারা', 'ববকাট', 'ললিপপ', 'বিশ্বঘাট', 'সম্বেদহীন', 'মূর্খ', 'পিঠু', 'বেহরি সরকার' ', এবং 'যৌন হয়রানি'। এছাও আর রয়েছে তানাশাহ, তানাশাহীর মত বহুল প্রচলিত শব্দ। 

আরও পড়ুন ঃ

'আমাকে সাসপেন্ড করুন', বাদল অধিবেশনের আগেই কেন তৃণমূলের ডেরেক চ্যালেঞ্জ করলেন স্পিকারকে

শ্রীলঙ্কার জনগণ ভুল কিছু করেননি- ঝড় থেমে দেশ শান্ত হবে, আশাবাদী সনৎ জয়সূর্য

সারনাথের সিংহের সঙ্গে নতুন সংসদ ভবনের সিংহের পার্থক্য কোথায়, ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী