সংক্ষিপ্ত
তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগে এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম। তাদের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় দফার ৬২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০৩ বা ১৭ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মতো গুরুতর অপরাধমূলক মামলা রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) ইতিমধ্যেই দু দফার (1st 2 Phase) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সেখানে তৃতীয় দফার নির্বাচন (Third Phase Election) সম্পন্ন হবে। ৫৯টি আসনে ৬২৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেদিন। আর সেই তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগে এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (ADR)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় দফার ৬২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০৩ বা ১৭ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মতো গুরুতর অপরাধমূলক মামলা (serious criminal cases) রয়েছে।
কোন দলের কত শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা
তৃতীয় দফার মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩৫ জন বা ২২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দলগুলির মধ্যে---
এসপির (SP) ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন অর্থাৎ ৫২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা
বিজেপির (BJP) ৫৫ জনের মধ্যে ২৫ জন অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ
বিএসপির (BSP) ৫৯ জনের মধ্যে ২৩ জন অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ
কংগ্রেসের (Congress) ৫৬ জনের মধ্যে ২০ জন অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ
আম আদমি পার্টির (AAP) ৪৯ জনের মধ্যে ১১ জন অর্থাৎ ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
গুরুতর অপরাধমূলক মামলা রয়েছে
১০৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। ২ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলা। ১৮ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে 'খুনের চেষ্টা' সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন- দোরগোড়ায় পঞ্জাব নির্বাচন, শিখ ফর জাস্টিসের সমর্থন পেল আম আদমি প্রার্টি
এডিআরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ১৩৫ (২২%) প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায়১৬টি জেলা জুড়ে ৫৯টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ২৬টি (৪৪%) নির্বাচনী এলাকায় "রেড অ্যালার্ট" জারি করা হয়েছে। যেখানে তিন বা তার বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে৷
কোটিপতি প্রার্থীরা
এডিআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪৫ জন অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ কোটিপতি। যে কোনও নির্বাচনের ক্ষেত্রে টাকা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এসপির ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জন অর্থাৎ ৯০ শতাংশ কোটিপতি
বিজেপির ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৮ জন অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ কোটিপতি
বিএসপির ৫৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৬ জন অর্থাৎ ৭৮ শতাংশ কোটিপতি
কংগ্রেসের ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৯ জন অর্থাৎ ৫২ শতাংশ কোটিপতি
আম আদমি পার্টির ৪৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ কোটিপতি
আরও পড়ুন, কুমার বিশ্বাসের বিতর্কিত মন্তব্য, নিষেধাজ্ঞা জারি নির্বাচন কমিশনের
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে অপরাধী পটভূমি সহ প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কারণ এবং কেন তাদের ছাড়া অন্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া যাবে না তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিআর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ অনুযায়ী পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে কোনও আগ্রহ নেই।