সংক্ষিপ্ত
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, ১১ কোটি টাকা উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়েছিল। এটিই এতদিন সর্বাধিক ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এবার ভেঙে গেল সেই রেকর্ডও।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কালো টাকার অপব্যবহার ঠেকাতে আয়কর দফতর বেশ সাফল্য পাচ্ছে। গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড ৪৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধুমাত্র কানপুরেই ১৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর এই দিক থেকে কানপুরই প্রথম। পাশাপাশি নয়ডায় ১৩ কোটি এবং লখনউতে ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাত কোটি টাকা অন্য জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে এত নগদ আর কখনও ধরা পড়েনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, ১১ কোটি টাকা উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়েছিল। এটিই এতদিন সর্বাধিক ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাঁচ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আর ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তহবিলের অপব্যবহার রোধে আয়কর বিভাগের প্রস্তুতি সঠিক ফলাফল দেখাচ্ছে। নির্বাচনে নগদের ব্যবহার ঠেকাতে, আয়কর বিভাগ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডেই কমকরে ৭২ জন অফিসারের দল তৈরি করেছে। লখনউয়ের প্রধান কন্ট্রোল রুমের সাথে এই অফিসারদলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ২৪ ঘন্টা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে কানপুর এবং কনৌজে বিপুল অর্থের সন্ধান পাওয়ার পর, আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা তদন্তে কৌশল পরিবর্তন করে। এরপর প্রতিটি জেলার জন্য একজন আয়কর কর্মকর্তা এবং সহযোগী কর্মকর্তা বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচনের আবার জন্য বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
সূত্রের খবর, রেলওয়ে, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও ইনফরমার সিস্টেমের মাধ্যমে কালো টাকার ওপর নজর রাখছে আয়কর। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেনের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। বিলাসবহুল যানবাহনে যাতায়াতকারী, প্রার্থীদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও নিকট আত্মীয়ের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কানপুর সহ গোটা রাজ্যে এখন ৮৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কোনও নির্বাচনের সময় এমন বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন- বিজেপির মনোনয়নকে ঘিরে উত্তাল দিনহাটা, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঠেকাতে লাঠিচার্জ পুলিশের
এদিকে গতকাল রাজস্ব বিভাগের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, সরকারি আয়ের থেকে বাড়তি সম্পদের মালিক এমন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ চেয়েছে। সবাই ইটিআর পূরণ করলেও, সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে চেয়ে একটি প্রফর্মা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, গত তিন বছরে যারা আয়ের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেছেন এবং যারা জমি কিনেছেন তাদের আলাদা তালিকা তৈরি করে তদন্ত করতে হবে। যা নিয়েও তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক মহলে।