সংক্ষিপ্ত

বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লাঠি হাতে নামতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।  
 

বিজেপির মনোনয়নকে ঘিরে উত্তাল দিনহাটা। বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। এদিন দিনহাটা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বিজেপির প্রার্থীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদেররীতিমতো মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, এদিন মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে তাঁদের প্রার্থীদের আটকে দেন তৃণমূল কর্মীরা। কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী-সহ বিজেপির দুই বিধায়ক দলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এমনকী বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লাঠি হাতে নামতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। 


সহজ কথায় বিজেপির বুধবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটা মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে। এবার মহকুমা শাসকের অফিস থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে তাজা বোমা ফাটারও অভিযোগ ওঠে। একে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মহকুমা শাসকের অফিসের উলটো দিকে থাকা সংহতি ময়দানে তাজা বোমাগুলি রাখা ছিল বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকলবাহিনী পৌঁছে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এদিন দু’জন ছেলে এসে সেখানে বোমা রেখে চলে যায়। তারমধ্যেই একটি বোমা ফেটে যায়। কারা বোমাগুলি সেখানে রেখে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।    

আরও পড়ুন-ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে দুর্নীতি ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তাদের 'বাড়তি' আয়ে বিশেষ নজর


আরও পড়ুন- বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ, শিলিগুড়িতে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য

এদিকে আবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিকে অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছেন বিধায়ক উদয়ন গুহ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যেখানে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন?" অন্যদিকে, দিনহাটায় জঙ্গলরাজ চলছে বলে পালটা অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। একইসাথে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের অভিযোগ, ”দিনহাটায় নাটাবাড়ির বিধায়ককেও লাঠি পেটা করেছে তৃণমূল।”  তবে এদিন সকাল থেকেই মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনীর টহলদারি চলে।

আরও পড়ুন-বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও হারবে বিজেপি, অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী ব্রিগেডকে আক্রমণ মমতার

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার